অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে উত্তরা ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান। শমী নব্বই দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী এবং পরবর্তীতে প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় শমীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে উত্তরা পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘ইশতিয়াক মাহমুদ নামে একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ২৯ অক্টোবর মামলাটি রুজু হয়। মামলা নম্বর ৯। এই মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।’
সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেছিলেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেফতার হলেন এই অভিনেত্রী। শমী আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হত্যার এক মমলায়।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
উল্লেখ্য, শমী ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।