কথা বললে সম্মানের সঙ্গে বলতে হবে: ঐশ্বরিয়াকে বলেছিলেন জয়া
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে কী ধরনের বাক্যালাপ হয়, তা নিয়ে খোলাখুলি নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। জানিয়েছিলেন দুজনের কথাবার্তার ধরনে বিশেষ ফারাক রয়েছে।
বারবার চর্চায় উঠে আসছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের দাম্পত্যে নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে জল্পনা। বাড়ছে নাকি দূরত্ব। তবে এ নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে আছেন এ তারকা দম্পতি। সংসারে বনিবনার অভাবেই কি দাম্পত্যে চিড়, নাকি তৃতীয় নারীর আগমন— এমন প্রশ্নও উঠেছে বহুবার। এর মধ্যেই শোনা গেছে, শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে নাকি মোটেই সম্পর্ক ভালো নয় সাবেক এ বিশ্বসুন্দরীর। তবে জয়া বচ্চনের কড়া শাসন নাকি মেনে নেননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন জয়া বচ্চন। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে কী ধরনের বাক্যালাপ হয়, তা নিয়ে খোলাখুলি নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম, পুত্রবধূকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এ অভিনেত্রী। ‘উল্টোপাল্টা’ আলোচনা তার সঙ্গে করাই যায়। কিন্তু সব সময় সম্মানের সঙ্গে কথা বলতে হবে, শর্ত জয়ার।
কোনো বিষয় অপছন্দ হলে ঐশ্বরিয়ার মুখের ওপরেই বলতে পছন্দ করেন জয়া। ঐশ্বরিয়াও নাকি একই কাজ করেন। মতান্তর হলে, তা সরাসরিই বলে দেন তিনি। কিন্তু দুজনের কথাবার্তার ধরনে রয়েছে বিশেষ ফারাক। জয়া বলেছিলেন, একটাই পার্থক্য রয়েছে। আমার কথাবার্তায় একটু বেশি নাটকীয়তা থাকতেই পারে। কিন্তু ও (ঐশ্বর্যা) যেন সম্মানের সঙ্গে কথা বলে। আমি বয়সে বড়। এটুকুই আমার শর্ত। তা ছাড়া আমরা একসঙ্গে বসে নানা উল্টোপাল্টা কথা বলি। শুধু আমি আর ঐশ্বরিয়াই একসঙ্গে সময় কাটাই। যদিও ওর বেশি সময় থাকে না। তবে ও সব কাজ করেই আনন্দ পায়। আমার সঙ্গে ওর খুবই ভালো সম্পর্ক।
উল্লেখ্য, অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের আসরে গোটা পরিবার নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু ছিলেন না ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যা। তারা পরে আলাদাভাবে উপস্থিত হন। এ ঘটনার পরেই শুরু হয় বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা।