শক্তিমান অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে অভিনেতার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা রবিন মন্ডল যুগান্তরকে জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালেও কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় তার চিকিৎসা চলছিল। আজ বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল শুক্রবার সকালে অভিনেতাকে তার নিজ গ্রাম মানিকগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানেই দাফন হবে। মঞ্চ দিয়ে অভিনয় শুরু করেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এরপর টেলিভিশন নাটকে বেশ বর্ণালী ক্যারিয়ার গড়েন।
১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নুরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটক দিয়ে অভিষেক হয়। তার প্রথম সিনেমা ছিল সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’। সিনেমায় অভিনয় করেও নজর কাড়েন তিনি।
পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় পাঁচশ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।