অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে থাকার পর ফের পুরোনো মেজাজে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরছেন, এটিই ছিল সাম্প্রতিক খবর। আনন্দবাজার অনলাইন জানাচ্ছে অন্য খবর— এই প্রথম কোনো বিজ্ঞাপনী ছবিতে তাকে দেখা যাবে । এ খবর জানিয়েছেন খোদ ‘বিজয়ার পরে’ ছবির পরিচালক অভিজিৎ শ্রীদাস। তিনি বলেন, তরুণ মজুমদারের হাত ধরে মৌসুমীদি প্রথম অভিনয়ে এসেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে আমি ওকে বিজ্ঞাপনী ছবিতে প্রথম আনতে পারলাম।
যিনি নতুন করে ফিরছেন তিনি কী বলছেন? এমন প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছেই। অভিজিৎ বলেন, এ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এখন ভালো কাজ করতে চাইছেন। সে কথা তিনি বলেছেন। মৌসুমীর কথায়— আমায় পছন্দসই চরিত্র দাও। কাজ করব। এতদিন যেমন করে এসেছি। মজার, ঘরোয়া, চরিত্রে গভীরতা আছে। আমিও তাহলে আবার আগের মতো অভিনয় করব। এখনো হাসিতে গজদন্তের ঝিলিক। দুই গালে হালকা টোল। কথায় কথায় রসিকতা। নিজে হেসে অন্যকে হাসানো— যতক্ষণ সেটে ততক্ষণ কেবল তার রাজপাট। সব একই আছে, দাবি পরিচালকের।
মুম্বাইয়ে প্রথম সারির এক মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনী ছবি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অভিজিতের। এ ছবিতে মৌসুমীর সঙ্গী বলি অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। মৌসুমী বায়ুর দাপটে তিনিও নাকি বেসামাল। মৌসুমীদি একটা করে কথা বলছেন, আর সোনাক্ষী হেসে গড়িয়ে পড়ছেন।
পরিচালক বলেন, দুই অভিনেত্রী নিজের পরিচয়েই ধরা দেবেন। সোনাক্ষী রান্নার শোর সঞ্চালক। আর মৌসুমী তার অতিথি। সাধারণত অতিথিরা এস রেঁধেবেড়ে খাওয়ান। দিদি তো বরাবর ব্যতিক্রমী। তাই তিনি সঞ্চালিকাকে বলবেন, তাকে রেঁধে খাওয়াতে হবে! তাদের সৌন্দর্য বুঝেই তাই সাজসজ্জার আয়োজন।
মৌসুমীকে দেখা যাবে সোনালি আর পিচরঙা টিস্যু শাড়িতে। সোনাক্ষী লাল রঙের পাশ্চাত্য পোশাকে। কখনো একই রঙের সিক্যুইন সালোয়ারে। শত্রুঘ্ন সিনহার মেয়ের সঙ্গে শুটিং করে প্রবীণ অভিনেত্রী এতটাই খুশি যে, এই প্রজন্মের সঙ্গেই বেশি কাজ করতে চান তিনি। প্রজন্মের ফারাক থাকলেও উভয়েই বাংলা পরিচালককে একইভাবে সম্মান করেছেন।
অভিজিতের মতে, এ জন্যই মুম্বাইয়ে কাজ করে আরাম। তার এই ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে সিরিজ ‘গুল্লাক’খ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার নিখিল আরলকর। বয়স সৌন্দর্যে থাবা বসায়। জীবনের নানা ওঠাপড়া ছাপ ফেলে মনের আয়নায়। মৌসুমীর ক্ষেত্রেও তাই।