সালসাবিলের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক নোবেল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২০ পিএম
অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ভুল স্বীকার করে সম্প্রতি ক্ষমা চেয়েছিলেন সারেগামাপা-খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। একইসঙ্গে মাদকের সঙ্গে কোনো ধরনের সর্ম্পক্ততা নেই বলেও জানান তিনি। এমন দাবির পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। সংগীতপ্রেমীরা আশা ব্যক্ত করেন―নোবেলের এ যাত্রায় সংগীতে ফেরা মানে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে ‘পূর্ণাঙ্গ গায়ক’ হিসেবে ফেরা তার।
এদিকে তরুণ এ গায়ক যখন নিজেকে নতুনভাবে সংগীতে ব্যস্ত থাকার কথা জানান, ঠিক ওই সময় ভিন্ন দাবি জানান তার সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। জানান, ফের মাদকগ্রহণ শুরু করেছেন তার সাবেক স্বামী। আর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ৫-৭ জন বান্ধবী।
নোবেলের সাবেক স্ত্রীর এমন মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে যখন চর্চা হচ্ছে, তখন বিষয়টি নিয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন গায়ক নোবেল। জানালেন, সালসাবিলের এমন মন্তব্য নিয়ে বেশি কিছু বলতে চান না তিনি।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর সালসাবিল ফেসবুকে লেখেন―
‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খুব দ্রুত বিচার না করে একটু সময় দিন, সত্যটা সবার সামনে চলে আসবে। যে যেটাতে অভ্যস্ত, সেটাই করতে থাকবে। ক্যামেরার সামনের নাটকটি ক্ষণস্থায়ী। সত্য বের হয়ে আসা শুধু ক্ষণিকের অপেক্ষা।’
সালসাবিলের এই স্ট্যাটাসে একজন মন্তব্য করেন। মন্তব্যের জবাবে সালসাবিল লেখেন, ‘রিহ্যাব থেকে বের হওয়ার পর একটা মানুষের খাবার কেনার টাকা নেই। মাফ না করলেও খাবার কেনার টাকা দিলাম। গানের ভয়েজ দিতে যাবে, উবারে যাওয়ার ভাড়া নেই, দিলাম। তিন মাস শতভাগ ভালো হওয়ার নাটক করল। শিগগিরই একটা শো আসছে। আবার ড্রাগ শুরু করে দিয়েছে। আর সঙ্গে তো পাঁচ-সাতটা জিএফ আছেই।’
এ ব্যাপারে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে একটি গণমাধ্যমের করা প্রশ্নে গায়ক নোবেল বলেন, ‘আসলে এ নিয়ে কী বলব আমি। তার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর হয় কোনো যোগাযোগ নেই আমার। দেখাসাক্ষাৎ নেই।’
কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্য শোনার পর কিছু বলার ওথাকে না। আমার একজন এক্স ওয়াইফ, আমাকে নিয়ে কী বলল না বলল, তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আমার। এমনকি তার এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে আমার কিছু যায়-ও আসে না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন নোবেল। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে। যার শেষ পরিণতি হয় বিবাহবিচ্ছেদ।