ছবি : সংগৃহীত
গত কয়েক মাস ধরেই অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। মাস কয়েক আগে ঐশ্বরিয়া তার মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে বচ্চনদের বাড়ি ছেড়ে চলে যান, ওঠেন নিজের মায়ের কাছে।
জুলাই মাসের শুরুতে অনন্ত আম্বানী-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিল গোটা বচ্চন পরিবার। ছেলে-মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনিকে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা দেন জয়া-অমিতাভ। পারিবারিক সেই ছবিতে ছিল না শুধু অভিষেক-কন্যা আরাধ্যা ও তার মা। খানিক পরে অবশ্য ঐশ্বরিয়া-আরাধ্যা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, পাপারাজ্জিদের জন্য মিষ্টি হেসে দাঁড়ান। ফলে বচ্চনদের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া দূরত্বের জল্পনা যেন আরও কিছুটা ঘনীভূত হল।
শোনা যায়, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে কয়েক বছর ধরেই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক ঐশ্বরিয়ার। বাইরে মুখ ফুটে কখনও সে সব কথা বলেন না অভিনেত্রী। একটা সময় ছিল ঐশ্বরিয়া নাকি অনুপ্রেরণা ছিল তার শাশুড়ি জয়াই!
‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে যখন তার ও রণবীর কাপুরের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, সেই সময় ঐশ্বরিয়া জানান, আমাদের জীবনে কিছু জিনিস ব্যক্তিগত হয়। মাথায় রাখতে হবে কর্মজগতের বাইরে তুমি কারও পুত্রবধূ, কারও মা। এমন কিছু করো না যাতে তারা লজ্জিত হন। আমার খ্যাতি হয়ত কয়েক বছর থাকবে। পরিবার সারাজীবন পাশে থাকবে। আমি চাই আমাকে এমন অভিনেত্রী হিসেবে মানুষ মনে রাখুক যেমনভাবে জয়াজী (জয়া বচ্চন) ও হেমাজীর (হেমা মালিনী) ক্ষেত্রে দর্শক মনে রেখেছেন।