‘নাইটক্লাবে আসে সে সুযোগ’, শুনে কী বলেছিলেন সুস্মিতার বাবা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
বলিউড সেনসেশন ও মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনের ছোটবেলার জীবন ছিল কড়া অনুশাসনে। তাই সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাড়িতে ঢুকতেই হতো তাকে। তার জীবনে সত্যিই কি ছিল এমন কড়া নিয়মকানুন? আজ্ঞে হ্যাঁ। অবাক হলেও এটিই সত্যি। বাবার ভয়ে তটস্থ থাকতেন মিস ইউনিভার্স।
মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। ১৯৯৪ সালে এই অনন্য খেতাব জয় করেন। প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে এমন কৃতিত্ব তারই। সুস্মিতার রূপ, অভিনয়— সবই ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। এই বাঙালি তনয়ার জীবনের নানা ঘটনাই তৈরি করেছে শিরোনাম।
অভিনেত্রী তার বাবাকে যমের মতো ভয় পেতেন একটা সময়। নিয়মানুবর্তিতা থেকে জীবনবোধ— বাবার শিক্ষাই সুস্মিতার জীবনের পাথেয় হয়ে আছে। নাইটক্লাবে সময় কাটাবে মেয়ে? বাবার বেঁধে দেওয়া সময় শুনে চক্ষু চড়কগাছও হয়েছিল কন্যার। তারপর জীবনের মোড় ঘুরতে বাবার কাছে সত্যিটাও জানিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন।
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকতে হবে—এমনই ছিল সুস্মিতার বাবার কড়া নির্দেশ। নাইটক্লাব থেকে কি এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরা সম্ভব? বাবা যে কিছুতেই মানতে নারাজ। বলেছিলেন— সন্ধ্যা ৭টা মানেই বাবার কাছে রাত। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরতেই হবে বাড়ি।
সম্প্রতি সুস্মিতার একটি পুরনো ভিডিওর ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, মিস ইউনিভার্স ভাগ করে নিয়েছেন তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি। অভিনেত্রী বলেন, এ রকমই ছিল আমার বাবার কড়া অনুশাসন, যা আমার জীবনের বড় শিক্ষা। একই জিনিস আমিও পরবর্তীকালে মেয়েদের ক্ষেত্রে মেনটেন করেছি।
এসবের পরও নাইটক্লাবে যাওয়া কিন্তু কোনোভাবে বন্ধ হয়নি অভিনেত্রীর। এমনকি এক নাইটক্লাব থেকেই সুস্মিতার মিস ইন্ডিয়া হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে বাবাকে বলতে হয়েছিল— কোত্থেকে এ সুযোগ এসেছে তার কাছে। সুস্মিতা বলেন, সেদিনের ওই কথা শুনে বাবার রিঅ্যাকশন ছিল দেখার মতো।
তিনি আমায় প্রশ্ন করেছিলেন— তুমি তাহলে মোনার সঙ্গে নাইটক্লাবে যাও? আমি তো ভাবতাম তুমি পড়াশোনা কর।
জীবনের পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই সুস্মিতার। বরং দুই কন্যাকে নিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করতে চান জীবনের মুহূর্ত। যে কারণে সিনেমা থেকেও খানিক বিরতি নিয়েছিলেন সুস্মিতা। চুটিয়ে মাতৃত্ব উপভোগ করছিলেন। সুস্মিতার বলেন, এ মুহূর্তটা আর কখনো ফিরে আসবে না আমার জীবনে। কাজ আমি সারাজীবনই করব, তা আমায় করতেই হবে। সামাজিক-অর্থনৈতিক সব কারণেই। তবে পরিবার সবার আগে।