২৪-২৫ বছরে বিয়ে করার যুক্তি তুলে ধরলেন আসিফ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
যার গান ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যিনি সবসময় গান নিয়ে পড়ে থাকেন। যার গান শুনে সবাই মুগ্ধ। ‘ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়’— যে গান এখনো সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে গাঁথা রয়েছে। সেই তিনি বিনোদন জগতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। যাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি না।
এ সংগীতশিল্পী সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শরব থাকেন। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। যেখানে আসিফ আকবর লিখেছেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্রছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমে।
আসিফ লিখেছেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্রছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা ও মা হতে পারে, আমরাও দাদা- নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে।
সন্তানদের বিয়ের জন্য বাবা-মাকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে এ সংগীতশিল্পী বলেন, ‘কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে। এর মধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়। স্বর্ণের ভরি এখন এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪-২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে না। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা-মা’কে।’
আসিফ আকবর আরও লিখেছেন— দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দোলনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর, অথচ আমি ওই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত— রাষ্ট্রব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা, ব্যাংকঋণ দেবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোন প্রেশার ছাড়া। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম— এখনই সময়।
আসিফ আকবরের বড় ছেলে শাফকাত আসিফের বিয়ের বিষয়ে উল্লেখ করে সংগীতশিল্পী লিখেছেন— এদিকে দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ ও শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিয়েবার্ষিকী পূরণ হয়েছে। দুজনেই কানাডার টরন্টোয় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মতো কোনো সুখবর নেই।
আসিফ আকবর লিখেছেন, ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বলল প্ল্যান নাকি আছে। বললাম তোমার জন্মের সময় কোন প্ল্যান আমাদের ছিল না। অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো। পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্রর বিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ। সেই অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ-ঈশিতা তোমাদের বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা। ভালোবাসা অবিরাম।