Logo
Logo
×

বিনোদন

৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, সাইফকে ক্ষমা করতে পারেননি ইব্রাহিম

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

৩ বছর বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, সাইফকে ক্ষমা করতে পারেননি ইব্রাহিম

ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় তার রক্তে। সাইফ ও অমৃতার পদচিহ্ন অনুসরণ করেই এবার অভিনয়ের জগতে পা রাখতে চলেছেন ইব্রাহিম আলি খান। সাইফের বড় মেয়ে সারা ইতোমধ্যে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ইব্রাহিমের লুক নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের। অনেকের মতে, হুবহু বাবার মতোই দেখতে ইব্রাহিমও। শর্মিলা ঠাকুরের মতে, নাতি-নাতনিদের মধ্যে একমাত্র ইব্রাহিমকেই আক্ষরিক অর্থে পতৌদির নবাবদের মতো দেখতে। 

২০০১ সালে বিয়ের ১০ বছর পর সাইফ ও অমৃতা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিমের জন্ম হয়। আর ছেলের বয়স যখন সবেমাত্র তিন বছর, তখনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি। বাবাকে ছেলেবেলায় কাছে পাননি ইব্রাহিম। এ কারণে এখনও সাইফকে ক্ষমা করতে পারেননি ছোট নবাব। 

অভিষেকের আগেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন ইব্রাহিম। কিন্তু জানেন কি ক্যারিয়ার নিয়ে বাবার থেকে কোনোরকম পরামর্শই নেন না তিনি। বরং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে ভালোবাসেন। করণ জোহরের কাছ থেকে ফিল্ম মেকিংয়ের এবিসিডি শিখেছেন। রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানির সহকারী পরিচালক ছিলেন সাইফপুত্র। 

দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোর এপিসোডে ছেলেকে নিয়ে অকপট শিকার সাইফ আলি খানের। শোতে সঞ্চালক কপিল শর্মার সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি জানান, সারা প্রায়শই ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ নিতে পৌঁছে যান বাবার কাছে। তবে ইব্রাহিম এখন পর্যন্ত জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেই বাবার দ্বারস্থ হননি। সাইফের আশা— একদিন ইব্রাহিমের সঙ্গে বসেও তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে ইব্রাহিম কীভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার যাত্রাপথকে এগিয়ে নিয়ে যায় তা জানতে আগ্রহী সাইফ।

চ্যাটের মাঝখানে কপিল অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে একটি কথোপকথনের কথা স্মরণ করে জানান, আমির বলেছিলেন— তার সন্তানরা কখনো পেশাদার পরামর্শের জন্য তার কাছে পৌঁছায়নি। তিনি সাইফকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এটি তার সঙ্গে একই ঘটনা কিনা। সাইফ মজা করে বলেন, আমার মনে হয় ইব্রাহিমের আমিরের কথা শোনা উচিত। তাই সে বেশি কিছু জিজ্ঞেস করেন না।

সাইফ বলেন, তবে আমি আর আমার মেয়ে সারা অনেক কথা বলি। কীভাবে কোন কাজ করতে হবে, সেই সম্পর্কে ও আমার পরামর্শ নেয়। কখনো কখনো সারা আমার কাছে কোনো ছবির দৃশ্য নিয়ে আসে এবং আমাকে তার সঙ্গে পড়তে বলেন এবং আমাকে কিছু ধারণা জিজ্ঞাসা করে। সাইফ আশাবাদী হয়তো ভবিষ্যতে ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গেও তার একই ধরনের কথা হবে।

অর্চনা পুরান সিং জানান, তিনি ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজ করেছেন। সাইফপুত্রকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে মিষ্টি ছেলে’ বলে অভিহিত করেন কপিলে শোর জাজ। গর্বের সঙ্গে সাইফের জবাব—শুনে খুশি হলাম।

উল্লেখ্য, বয়সের ফারাক কিংবা ধর্মের বেড়াজাল কোনটাই আটকাতে পারেনি সাইফ-অমৃতার প্রেম। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়েছিলেন নবাব। টান কম ছিল না অমৃতারও। তাই তো প্রথম ডিনার ডেটেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন দুজনে। সদ্য ২১-এ পা রাখা সাইফ ১২ বছরের বড় অমৃতাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। টেকেনি সেই বিয়ে। পরে ২০১১ সালে অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। 

বাবার দ্বিতীয় বিয়েতেও গিয়েছিলেন সারা-ইব্রাহিম। কারিনার সঙ্গেও দারুণ বন্ডিং সাইফের প্রথম পক্ষের দুই সন্তান। তৈমুর-জেহকেও চোখে চোখে রাখে দাদা-দিদি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম