আরজি করকাণ্ড নিয়ে একটি কথাও বলব না: মিঠুনের বউমা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আরজি করকাণ্ডে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যায় যেখানে পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন জগত তথা ভারতজুড়ে তোলপাড়, সেখানে বলিউড-টালিউড শক্তিমান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বউমা বলেছেন, আরজি করকাণ্ড নিয়ে তিনি একটি কথাও বলবেন না। কেন এ কথা বললেন অভিনেত্রী মাদলসা?
টানা চার বছর ধরে হিন্দি মেগা ‘অনুপমা’র ‘কাব্য’ হচ্ছেন মাদলসা। রেটিং চার্টের এক নম্বর ধারাবাহিক থেকে সরে গেলেন তিনি। হিন্দি মেগা ‘অনুপমা’র অন্যতম আকর্ষণ মাদলসা। বাংলা ধারাবাহিক শ্রীময়ীর ‘জুন আন্টি’ই হিন্দিতে ‘কাব্য’। দীর্ঘদিন একটি চরিত্র নিজ অভিনয়গুণে জনপ্রিয় করার পর সেই ধারাবাহিক থেকে হঠাৎ করে বিদায় বলে দিলেন মাদলসা। গত সোমবার সেই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করেছেন এ অভিনেত্রী। তার ঘোষণায় অবাক ছোটপর্দার দর্শকরা। কোন সমস্যায় রেটিং চার্টের এক নম্বর ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন মাদলসা— এমন প্রশ্ন উঠেছে দর্শকদের মনে?
আনন্দবাজার অনলাইনে শেয়ার করে অভিনেত্রী মাদলসা বলেছেন, শুরু থেকে ‘কাব্য’ চরিত্রটি ধারাবাহিকের অন্যতম জোরালো স্তম্ভ। জনপ্রিয়তার কারণ। দিন যত এগিয়েছে গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্দায় চরিত্রটির জৌলুস আরও বেড়েছে। আমিও অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি।
তিনি বলেন, ইদানীং তার মনে হয়েছে— চরিত্রের সেই জোরালো দিক আর যেন নেই। ‘কাব্য’ তার আকর্ষণ হারিয়েছে, যা অভিনেত্রীকে বিষণ্ন করে তুলেছে। তিনিও অভিনয় করে তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না। তাই গত এক মাস ধরে ভাবছিলেন— এবার বোধহয় সরে আসাই মঙ্গল।
মিঠুন চক্রবর্তীর বৌমা এরপর কথা বলেন ধারাবাহিকের পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে। তারাও ওর কথার মর্যাদা দিয়েছেন। এ অভিনেত্রী বলেন, চার বছর একটা চরিত্রকে দিয়ে ফেলা মানে অনেকটা সময় নিজেকে একটা খোলসে আটকে রাখা। এর পরও থেকে গেলে সেটা জোর করে থেকে যাওয়া হতো। ওটা একেবারেই চাই না।
চার বছর ধরে একটা চরিত্র বহন করলে তার ছাপ থেকে যায় উল্লেখ করে মাদলসা বলেন, ‘কাব্য’ ছোটপর্দার তথাকথিত নারী চরিত্র নয়। মানসিক দিকে থেকে যথেষ্ট জোরালো ও শক্তিশালী। ফলে এই চরিত্র তাকে কোনো তকমায় বন্দি করবে না। বরং তিনি ‘কাব্য’র বদৌলতে আগামীতে নতুনভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন।
মাদলসা বলেন, বাস্তবেও ‘কাব্য’কে নিজের মধ্যে দেখতে পাই। আমিও শক্ত ধাঁচের মেয়ে। যতটা পরিবারকেন্দ্রিক, ততটাই বাইরের দুনিয়ায় সাবলীল। আমাকে চট করে বশে আনা যায় না। মাদলসার এই মানসিকতা হয়তো একুশ শতকের অনেক মেয়েরই বেঁচে থাকার অস্ত্র।
কলকাতার আরজি করকাণ্ড কিংবা দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ার হেমা কমিটি রিপোর্ট যে বলছে, নারীনিগ্রহ এখনো মেয়েদের প্রধান বাধা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আরজি করকাণ্ড নিয়ে একটি কথাও বলব না। কারণে-অকারণে বিতর্ক পছন্দ করি না। তা ছাড়া বিষয়টি বিচারাধীন। তিনি বলেন, জন্ম থেকেই নিরাপত্তার কারণে নারীকে প্রত্যেক মুহূর্তে সজাগ থাকতে হয়। তার পরও বলব— নিজেদের অস্তিত্ব যাতে সংকটে না পড়ে, তার জন্য আরও সজাগ থাকতে হবে। আরও বুদ্ধি করে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে চট করে কোনো সমস্যা তাকে কাবু করতে না পারে।