Logo
Logo
×

বিনোদন

কাঞ্চনকে চেনেন না দেব! 

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম

কাঞ্চনকে চেনেন না দেব! 

আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে কলকাতাসহ ভারতজুড়ে আন্দোলন চলছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এ নিয়ে প্রতিবাদ করছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। পিছিয়ে নেই বিনোদন জগতের বলিউড, দক্ষিণী ও টালিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। তারা রাজপথে নেমে বিচার দাবির প্রতিবাদে আন্দোলনে আছেন। এ ঘটনার পর দুর্গাপূজার অনুদানও ফিরিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ক্লাব। 

ভারতজুড়ে যখন এ অবস্থা, তখন সরকারি পুরস্কার ও সরকারের কাছ থেকে বেতন নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তিনি বলেছিলেন— যারা প্রতিবাদ করছেন, তারা কি বেতন নেবেন না? আর এ অভিনেতার কথাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অন্য তারকারা।

কাঞ্চন মল্লিকের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারি বিভিন্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করেছেন অনেক অভিনেতা। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়েছে চারদিকে। কেউ কেউ আবার তার সঙ্গে কাজ করবেন না বলেও জানিয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক খবরে— অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে টালিউড তারকা দেব বলেছেন, কাঞ্চন মল্লিক যা বলেছে তা সত্যিই দুঃখজনক। কল্যাণ দা যে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন, অবশ্য সেটিকে সমর্থন করিনি আমি। আমিই প্রচারে ডেকে নিয়েছিলাম কাঞ্চন মল্লিককে। কিন্তু…

এ অভিনেতা বলেন, সেই কাঞ্চন মল্লিক আর এই কাঞ্চন মল্লিকের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এ বিবৃতি যে কাঞ্চন মল্লিক দিয়েছেন, তাকে চিনি না আমি। আর তিনি যেহেতু আমারই সহকর্মী এবং আমাদের দলেরই একজন— এ জন্য তার হয়ে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমি।

দেব বলেন, আমাদের সবার আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি আমি। আমরা সবাই চাই— সবাই ন্যায়বিচার পাক। এই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী বা বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও— এসব অর্থহীন হবে, যদি প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের এখনই সব দল নিয়ে বৈঠকে বসা উচিত এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা উচিত বলেও মনে করেন দেব।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট ভোরে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের রেস্টরুম থেকে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, ওই চিকিৎসককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। অথচ মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল— আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী চিকিৎসক। আর কর্তৃপক্ষের বিরূপ মন্তব্যের পর ফুঁসে উঠে পশ্চিমবঙ্গ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম