শিল্পীদের এমপি-মন্ত্রী হওয়ার এতো শখ কেন: ন্যান্সি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
ফাইল ছবি
জনপ্রিয় গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। একটা সময় তার সুরেলা কণ্ঠ আর মন ছুঁয়ে যাওয়া গানের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখতেন ভক্তদের। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেভাবে তেমন একটা গান গাওয়া কিংবা কোনো কনসার্টে অংশ নিতে পারেননি এই গায়িকা।
অন্যদিকে তারই অনেক সহকর্মী বিগত সরকারের আমলে পেয়েছেন নানা সুযোগ-সুবিধা। হয়েছেন এমপি-মন্ত্রীও। তবে এবার সরকার পতনের পর ফের সরব হয়েছেন ন্যান্সি। কথা বলছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এবার শিল্পীদের এমপি-মন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ন্যান্সি বিগত সরকারের আমলে শিল্পীদের নমিনেশন কেনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, আমাদের পূর্বের কিছু মানুষ এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য নির্লজ্জের মতো ছোটাছুটি করেছে। যোগ্যতা না থাকার পরেও তারা নির্বাচন এলে নমিনেশন কিনতে দৌড় দিতো। এমনকি তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান-প্রজ্ঞাও ঠিকমতো নেই। তাদের বাসনা একটাই, এমপি-মন্ত্রী হতেই হবে!
তিনি বলেন, শিল্পীদের এতো এমপি-মন্ত্রী হওয়ার শখ কেন? কী আছে সেখানে? কত টাকা বেতন পায় এমপিরা? গান অথবা অভিনয় করে কি যথেষ্ট সম্মানী আসে না যেটা এমপি হওয়ার জন্য লোভ করতে হবে? যারা এগুলো করে এদের ধরা উচিত। আমার মধ্যে এসব চিন্তা একেবারেই নেই।
জনপ্রিয় এই গায়িকা বলেন, আমি এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না। তবে যে দল আমার ভালো লাগে, আমি তো চাইবোই তারা ক্ষমতায় আসুক। তবে সবকিছুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দেশের জনগণ। জনগণের কাছে আমার চাওয়া এতদিন যারা কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করে গুম, দুর্নীতি এবং কিছু বললেই চরিত্র নিয়ে কথা বলতো তাদের ক্ষমতায় আনবে কিনা মাথায় রাখতে। আর কোনো তারকা দেখলেই নমিনেশন দেবেন না। যদি সেই তারকা রাজনীতির লম্বা পথ যদি পাড়ি দিতে পারে তাহলে তাকে সেই টাইমে দেওয়া উচিত। তারপর তাকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।
ন্যান্সি আরও বলেন, যারা মানুষের মৃত্যুতে কাঁদেনি কিন্তু স্থাপনা নিয়ে আহাজারি করেছে আশা করবো তাদের এবার বোধদয় হবে। আমি চাইবো, আমার উপর যে অন্যায় অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হয়েছে, তাদের যেন সেইসব অত্যাচার সইতে না হয়।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হওয়ার আমার বাবা চাকরী শেষে পেনশনের এককালীন টাকা পর্যন্ত আটকে দেওয়া হয়েছিল। আমার বাবা সারাজীবন সততা নিয়ে চাকরী করেছেন, কোনো অভিযোগ ছিল না তার ওপর। তাকেও চাকরী শেষে যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছিল।
নিজের রাজনৈতিক দর্শন জানিয়ে ন্যান্সি বলেন, আমার রাজনীতি করার জন্য যতটুকু জ্ঞান থাকা দরকার আমি মনে করি কোনো রাজনৈতিক টকশো-তে গিয়ে কথাবলার মতো যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পেরেছি। তবে অবশ্যই আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে। যদি কেউ বলে তার মধ্যে রাজনীতির ভাবনা নাই এটা মিথ্যা কথা। রাজনৈতিক ভাবনা না থাকলে সে নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেয় কীভাবে?