ছবি: সংগৃহীত
‘নাগিন’ ধারাবাহিকে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মৌনী রায়। কিন্তু এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের আগেই নাকি মৌনী ভেবেছিলেন, তার জীবন শেষ হতে চলেছে।
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চেহারার বদল সবসময়ই আলোচনায় থাকে। একটু ওজন বাড়া বা কমা— যে কোনো বিষয় নিয়েই চলতে থাকে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ক্যামেরার দৃষ্টি এতটাই তীক্ষ্ণ হয় যে সার্জারি বা চিকিৎসা কোনোটাই লুকানো যায় না। তবে এ অভিনেত্রীর কর্মজীবনের শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিল না কখনই। বডি শেমিংয়ের মতো অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি।
প্রতিকূলতাকে একটা সময় ক্ষমতায়নে পরিণত করেছিলেন মৌনী। এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনাও করেছেন। অভিনেত্রী তার ক্যারিয়ারের শুরুতে কীভাবে বডি শেমিংয়ের স্বীকার হয়েছিলেন তা তুলে ধরেন। অনেক দিন মানসিক কষ্টে কেটেছে। মেকআপ থেকে সাজসজ্জা, প্রাথমিক জ্ঞানের অভাব সত্ত্বেও মৌনীর বিশ্বাস ছিল তিনি পারবেন। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন নানা মুহূর্ত।
তার এ লড়াইকে অকপটে তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী। মৌনী স্বীকার করেছেন যে, যখন তিনি প্রথম দিকে ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘সুন্দরী’ তকমা থেকে কতটা দূরে ছিলেন। ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের আগেই মৌনী ভেবেছিলেন, তার জীবন শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বললেন অভিনেত্রী মৌনী রায়।
মৌনী বলেন, ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে কাজ করার আগে তার ৩০ কেজি ওজন বেড়ে যায়। সেই ওজন কমানোর পদ্ধতি জানিয়েছেন তিনি। তবে খাওয়া কমালেই ওজন কমে— এ ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেও জানান তিনি। মৌনী বলেন, আমি অনেক কিছু করেছিলাম। সাত-আট বছর আগের কথা। আমি ব্যথা কমার ওষুধ খেতাম। আমার ‘স্লিপ ডিস্ক’-এর সমস্যা ছিল। অসুস্থতার কারণে আমি তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। এ কারণে আমার ৩০ কিলোগ্রাম ওজন বেড়ে যায়। ভেবেছিলাম, আমার জীবন বোধহয় এখানেই শেষ হয়ে গেল।
এ অভিনেত্রী বলেন, সেই সময় তিনি সবার চোখের আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। আমাকে কিন্তু সেই সময় কেউ দেখতে পায়নি। তিনি বলেন, আমি ভাবতাম— কীভাবে আমি ওজন কমাব। একটা সময় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিই। কিছুটা ওজন কমেছিল। খাবার খাওয়াও অনেকটা কমিয়ে দিই। শুধু ফল ও সবজি খেতাম। মেজাজ ভালো থাকত না। তার পর নিজেই বুঝতে পারি, এটি ওজন কমানোর অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। বুঝতে পারলাম খাবার খেতেই হবে। আমি আসলে অনেকটা খাবার খেতাম আগে। তিনজনের খাবার একা খেতে পারতাম। সেটি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলাম। এরপরই এক পুষ্টিবিদের কাছে যান তিনি। তার পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া শুরু করেন। এর পর সেই আমি—মুচকি হেসে জানান মৌনী রায়।
উল্লেখ্য, মৌনী রায়। যিনি ২০০৬ সালে 'কিউকি সাস ভি কভি বহু থি' দিয়ে দর্শকদের মোহিত করে তুলেছিলেন। 'ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান- শিবা' ও 'গোল্ড' থেকে 'মেড ইন চায়না' এবং 'ব্ল্যাকআউট'- এর মতো হিট দিয়ে তার অসাধারণ জার্নি ফুটিয়ে তুলেছিলেন।