Logo
Logo
×

বিনোদন

চারবার আবেদন করেও ভারতের ভিসা পাননি বাঁধন

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

চারবার আবেদন করেও ভারতের ভিসা পাননি বাঁধন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুখর ছিলেন ঢালিউড অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। দেশের বিনোদন জগতের বহু তারকা এ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি মাঠে নেমেছিলেন। আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে এ সফলতা পান দেশের জনগণ। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ জেগে ওঠে। কিন্তু এই আওয়ামী সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে দেশ নতুন করে স্বাধীন করলেও এ অভিনেত্রী স্বাধীনভাবে চলাফেরায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ভারত। যদিও এ অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ওপার-এপার— দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় হলেও ভারতের ভিসা পাননি তিনি। তার নাম ব্লাকলিস্টে ফেলে রেখেছে ভারত। অথচ কলকাতার পাশাপাশি বলিউডেও কাজ করেছেন বাঁধন। 

সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি গণমাধ্যমে আজমেরী হক বাঁধন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এ পরিস্থিতিতে তিনি নাকি এখন আর ভারতে যাওয়ার ভিসা পাচ্ছেন না। তার ভিসার আবেদন ভারতের হাইকমিশনের তরফে চারবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার তো কোনো বাউন্ডারি থাকা উচিত নয়। আমি সর্বত্র গিয়ে কাজ করতে পারি। আর ওখানকার পরিচালক, জুরি কমিটিও চাইছিলেন আমি যাই। সে জন্য শেষপর্যন্ত তারা আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমি বলছি না, ওদেশে আমি যেতে চাই না। আমি যেতে চাই। তবে ওরা কোনো কিছুতেই ভিসা দিচ্ছে না। কারণ আমার নাম ব্ল্যাকলিস্ট করে দিয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে মুখর হয়েছিলেন সে দেশের বহু তারকা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি অবশ্য শুধু ওপার বাংলাতে নয়, এপারেও যথেষ্ট পরিচিত। ভারতে আসার ভিসা পাচ্ছেন না এ অভিনেত্রী। তার ভিসার আবেদন ভারতের হাইকমিশন চারবার বাতিল করে দিয়েছে।

ভিসা না পাওয়ার কারণ হিসাবে অভিনেত্রী বাঁধন বলেন, এর আগে ভারতে ভিসা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি মুখ খুলিনি। কারণ আমি চাইনি— এটি নিয়ে বেশি শোরগোল হোক। তিনি বলেন, ইন্ডিয়াতে আমার কাজটাই না হোক, সেটিও চাইনি। তবে শেষ পর্যন্ত দেখলাম যে এটাও তো আমার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আমার একজনের সঙ্গে ছবি আছে— ভিপি নুরের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর) সঙ্গে ছবি ছিল। যেটা আমার অ্য়াকাউন্ট থেকে পোস্ট করা, তো ওরা (ইন্ডিয়ান হাইকমিশন) আমাকে এটা নিয়ে চার্জ করেছে।’

বাঁধন বলেন, ‘আমাকে প্রশ্ন করা হয়— আমার কেন ওর সঙ্গে ছবি আছে। আমি ওর সঙ্গে কীভাবে সংযুক্ত? আরও নানান রকমের প্রশ্ন করা হয়। তারপর চারবার আমার ভিসার আবেদন বাতিল করেছে ইন্ডিয়া। অথচ এর আগে আমি কলকাতায় কাজ করেছি, বলিউডেও কাজ করেছি। আর আমার সব কাগজপত্রও আছে। এমন নয় যে কাগজপত্র ছাড়া আমি শুধু পুলিশ ভিসায় যাব। আমার কাজের জন্য যাওয়ার কথা। তবে ভিসা ওরা দেয়নি। আর ট্যুরিস্ট ভিসা তো দেবেই না।’

এ অভিনেত্রী বলেন, আমার কলকাতায় একটা কাজ করার কথা ছিল, আর আমার বেঙ্গালুরুর এক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, বিশাল ভরদ্বাজের ফ্রেন্ডের এক ফ্রেন্ড ছিলেন আগের হাইকমিশনার। ওনাকে মেইল করা হয়েছিল আমার জন্য। সেই সময় যখন ভিসা পেয়েছিলাম, তখন যিনি হাইকমিশনার বিক্রমজি, উনি নিজে ডেকে পাসপোর্ট আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমি ওর সঙ্গে বসে চা খেয়েছি। প্রোজেক্ট নিয়ে কথা বলেছি। ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের পেজ থেকে বেস্ট উইশ জানিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল।

বাঁধন বলেন, আর এখনকার ছবিটা হলো বর্তমান যিনি হাইকমিশন, কেন ভিপি নুরের সঙ্গে ছবি তুলেছি? সেই প্রশ্ন তুলে আড়াই বছর আমায় ভিসা দেয়নি। কিন্তু কেন, আমি তো অভিনেত্রী। আমার তো কোনো বাউন্ডারি থাকা উচিত নয়। আমি সর্বত্র গিয়ে কাজ করতে পারি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম