ছবি সংগৃহীত
ঢাকাই সিনেমা বেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র আন্দোলনে আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে সিনেমা অঙ্গন। এছাড়া সিনেমার শিল্পীদের অবাধ কথা-বার্তা ও নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি নিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে সিনেমা হয়ে গেছে সস্তা পণ্য। সিনেমা ও শিল্পীদের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন দর্শক।
৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটেছে। এখন নতুন করে দেশ সংস্কারের কার্যক্রম চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় সিনেমায়ও সংস্কার করা প্রয়োজন বলেই মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যাণ্য জায়গার মতো সিনেমা অঙ্গনেও সংস্কার প্রয়োজন। এ জায়গা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। আমাদের মিডিয়ায় কিছু প্রডাকশন হাউজ, প্রযোজক, পরিচালক ও কিছু অভিনয়শিল্পী আছেন যাদের আচরণ খুবই স্বৈরাচারী। তারা ভীষণভাবে মিডিয়াকে প্রভাবিত ও কলুষিত করেছেন। তাদের হাত থেকে মিডিয়াকে রক্ষা করতে হবে। শিল্পীদের রাষ্ট্র থেকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের ইনস্টিটিউশন লাগবে। এছাড়া আরো অনেক ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন বাঁধন। ছাত্রদের হয়ে কথা বলতে নেমেছিলেন রাস্তায়। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।
আন্দোলন মূহুর্তে অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে থাকা ছবি নিয়েও অনেক সমালোচনায় পড়তে হয়েছে বাঁধনকে।
এ বিষয়টি নিয়েও বাঁধন বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানানোর পর থেকে আমাকে যে ধরনের সাইবার বুলিং করা হয়েছে, সেটা অনেক ভয়ানক ছিল।’