রাজকুমার রাও ও শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
২০১৮ সালে ‘স্ত্রী’ মুক্তির পর সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা ভারতে। হরর-কমেডি ঘরানার এই সিনেমা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন দর্শক। রাজকুমার রাও-শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত সেই ‘স্ত্রী‘ সিনেমার সিকুয়েল নিয়ে অপেক্ষা ছিল ভক্তদের। ছয় বছর পর গত ১৪ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে ‘স্ত্রী ২’।
মুক্তির পর একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে ‘স্ত্রী ২’। ১৪ আগস্ট মুক্তির দিনেই ৭৬ কোটি ৫ লাখ রুপি আয় করে সিনেমাটি। দ্বিতীয় দিনে ১০০ কোটি আয়ের রেকর্ড গড়ে। শনিবার (১৭ আগস্ট) ভারতের বক্স অফিস থেকে এই সিনেমার আয় ছাড়িয়ে ১৪০ কোটি রুপির ঘর!
‘স্ত্রী ২’ সিনেমা নিয়ে দর্শকদের এমন আগ্রহের কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিল্মিবিট।
রাজকুমার রাওয়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
রাজকুমার রাওকে বলা যায় বলিউডের অলরাউন্ডার। সব ঘরানার সিনেমাতেই নিজের অভিনয়গুণে মানিয়ে যান তিনি। স্ত্রী সিনেমার প্রথম কিস্তিতেও তার কমিক টাইমিং ব্যাপক প্রশংসিত হয়। দ্বিতীয় কিস্তিতেও অভিনয়ের সে ধারা ধরে রেখেছেন তিনি। তার পারফরম্যান্সে সিনেমার পুরোটা সময় বুঁদ হয়ে থাকছেন দর্শক।
হরর-কমেডির দারুণ মিশেল
ছবিটি এত ভালো করার আরেকটি কারণ দুর্দান্ত চিত্রনাট্য। এ ছবিতে যে ধরনের সিচুয়েশনাল কমেডি আছে, সেটা দারুণভাবে কাজ করে। অনেক সমালোচক এমনও বলছেন, প্রথম কিস্তির যে সিকুয়েলে হরর দৃশ্যগুলো ভালো, এ কিস্তিতেও তা দর্শকদের ভয় পাওয়াবে, যথেষ্ট বিনোদন দেবে।
ঐশ্বরিয়া আমার মেয়ে নয়, পুত্রবধূ: জয়া বচ্চন
রোমাঞ্চকর গল্প এবং নতুন রহস্য
সাধারণত সিকুয়েল বানাতে গিয়ে পোড় খাওয়া নির্মাতারাও গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন। প্রথম সিনেমায় গল্পের যে ধার থাকে, দ্বিতীয় সিনেমায় বেশিরভাগ সময়ই সেটা খুঁজে পাওয়া যায় না। গল্পের গাঁথুনি মজবুত হয় না। তবে পরিচালক অমর কৌশিক এখানেই উৎরে গেছেন। গল্পে নতুন রহস্য আর রোমাঞ্চকর সব বাঁকে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন তিনি।
যত্ন নিয়ে নির্মাণ
ভারতের অনেক সিকুয়েলই যত্ন নিয়ে নির্মিত হয় না, কেবল সিকুয়েলের জন্য সিকুয়েল হয়। কিন্তু এর মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ‘স্ত্রী ২’। সমালোচকদের মতে, এ ছবির জন্য দর্শকের আগ্রহ সার্থক হয়েছে। যে জন্য নির্মাতা অমর কৌশিকের প্রশংসা প্রাপ্য।
প্রোডাকশন ভ্যালু
‘স্ত্রী’ সিনেমার প্রথম কিস্তিতে ভিজুয়াল ইফেক্ট এবং শব্দ পরিকল্পনার প্রশংসা করেছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচকরা। দ্বিতীয় কিস্তিতে বাজেট বেড়েছে, সঙ্গে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষও অর্জিত হয়েছে। এর ফলে হলে বসে দর্শকদের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে আরও আনন্দময়।