যে কারণে অক্ষয়কে ‘বিষ খেয়ে মরে যাও’ বললেন স্ত্রী টুইঙ্কল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
নব্বইয়ের দশকে অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন টুইঙ্কল খান্না। তবে এরপর নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন অন্যভাবে। এখন তিনি লেখক এবং বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের ঘরনী। খিলাড়ি খ্যাত অভিনেতার সঙ্গে বিয়ের পরই অভিনয় থেকে অবসর নেন টুইঙ্কল খান্না। পরে লেখালিখি ও সাংসারিক কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অভিনেত্রী।
যদিও টুইঙ্কলের হাস্যরসের কথা বলিউডে সবারই কমবেশি জানা। টুইঙ্কলের লেখা ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি বেশ জনপ্রিয়তাও পায়।
তবে এবার স্বামীকে ‘বিষ খাওবিষ খেয়ে মরে যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়ে আলোচনায় রাজেশ ও ডিম্পল কন্যা। যদিও নেপথ্যে রয়েছে টুইঙ্কলের মনের গভীর এক ভয়!
১৯৯৯ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করার পর থেকেই অক্ষয়ের জীবনের লক্ষ্য হয়ে যায় টুইঙ্কলকে বিয়েতে রাজি করানো। কিন্তু টুইঙ্কলকে রাজি করানোই যে দায়!
পরে এক অনুষ্ঠানে অক্ষয় অবশ্য স্বীকার করেন যে, টুইঙ্কলকে নিয়ে বাজি ধরেছিলেন তিনি। ২০০০ সালে আমির খান ও টুইঙ্কল খান্না অভিনীত ‘মেলা’ সিনেমার সাফল্য নিয়ে বাজি ধরেছিলেন অক্ষয় কুমার।
ওই অনুষ্ঠানে অক্ষয় কুমার বলেন, টুইঙ্কল ‘মেলা’–র সাফল্য নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। বলেছিলেন, ছবিটা ওর প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য না পেলে বিয়ে করে নেবেন।
পরে হয়েছেও তাই। ২০০১ সালে অক্ষয়ের সঙ্গে বিয়ে করে নেন অভিনেত্রী। অক্ষয়ের সঙ্গে প্রায় ২৩ বছরের দাম্পত্য জীবন টুইঙ্কলের। এতগুলো বছর পেরিয়ে স্বামীকে কেন বিষ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন অভিনেত্রী?
জানা গেছে, নেপথ্য কারণ টুইঙ্কলের এক ভয় ভাবনা। অভিনেত্রীর ভয়, যদি অক্ষয়ের আগে তার মৃত্যু হয়, তবে অক্ষয় দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। আর অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী এসে তারই ব্যাগ ব্যবহার করতে পারে।
এমন ভাবনা থেকেই টুইঙ্কল নাকি আগেভাগেই অক্ষয়কে বলে দেন, ‘আমি যদি আগে মরে যাই, তুমি বিষ খেয়ে মরে যাবে। যদি দেখি তোমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার জিনিস ব্যবহার করছেন, তোমাদের দু’জনের পেছনে ছায়া হয়ে পড়ে থাকব, ছাড়ব না।’
এদিকে স্ত্রীর এমন কথা শুনে অক্ষয় পাল্টা বলেন, ‘আমি এখনই বিষ খেয়ে মরতে চাই। তাহলে এ ধরনের কথা শোনার থেকে মু্ক্তি পাব।’