বাইরে কারও সঙ্গে প্রেম করার অপশন নেই : অধরা খান
আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
ঢাকাই সিনেমার গ্ল্যামারাস নায়িকা অধরা খান। একাধিক সিনেমার কাজ নিয়ে রয়েছে ব্যস্ততা। কিছুদিন আগে ‘ঋতুকামিনী’ নামে একটি সিনেমার শুটিং ডাবিং শেষ করেছেন। এ সিনেমায় তার নায়ক আব্দুন নূর সজল। পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। তবে হাতে কোনো কাজ না থাকলেই অধরা উড়াল দেন দেশের বাইরে। এ মুহূর্তে অবস্থান করছেন থাইল্যান্ড। সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। তার এ বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্নও জাগে। কারণ, বাংলাদেশের নায়িকাদের মধ্যে অধরাই বেশিরভাগ সময় বিদেশ থাকেন। অবে তিনি বিষয়টি বেশ পরিষ্কারও করেছেন অনেকবার। বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে এ নায়িকা বলেন, ‘আমি পারিবারিক ব্যবসার কাজে বিদেশে যাই। এটা এর আগেও অনেকবার ক্লিয়ার করেছি। আর আমি লুকিয়ে যাই না। আমার ফেসবুক আইডি ভিজিট করলেই তা সবাই বুঝতে পারবে। এ ছাড়াও আমি যখন যে দেশে থাকি সেখান থেকেই পোস্ট দেই। তবুও আমার বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে সবার মধ্যে একটু বেশিই কিউরিসিটি। এটা নিয়ে আলোচনাও হয় বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক নায়িকা বিদেশে যায়। কিন্তু অনেকেই তা জানেনও না। আমি তাদের খারাপ বলছি না। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি খুব এনজয় করি, যখন যে দেশে যাই সেখানের পোস্ট দিতে। আর আমার বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হয় এটা আমার খারাপও লাগে না, ভালোই লাগে। এ ছাড়াও আমার ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে, তাই সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে আমি ঘুরতেও যাই।’
নায়িকাদের প্রেমের গুঞ্জন উঠে প্রায় সময়। তবে অধরাকে নিয়ে এ গুঞ্জন খুব বেশি উঠেনি। কারণ কী? বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘বাইরে প্রেম করার মতো আমার কোনো অপশন নেই। আমি ইতোমধ্যেই একজনের বাগদত্তা। আমার সব কিছু এখন সেই মানুষটার সঙ্গে। প্রেম আমি তার সঙ্গেই করছি। তাই আমার প্রেমের গুঞ্জন উঠানোটাও একটু কঠিন বিষয়। যারা প্রেম করে প্রকাশ করবে না, তাদের নিয়েই মানুষ নানা গুঞ্জন তুলবে। কারণ মানুষ তো জানছে না, সে কার সঙ্গে রিলেশনে আছে। তাই মনগড়া কারও একজনের নাম দিয়ে তা রটিয়ে দিচ্ছে। আর মিডিয়াতে এ ব্যাপারটা বেশি হয়। কারণ কাজের প্রয়োজনে আমরা অনেকের সঙ্গে আলোচনা করি, সেটা পরিচালক, নায়ক যে কেউ হতে পারে। দেখা যায় পাবলিক সেটাকেই ইস্যু করে ভুলভাল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আমি মনে করি যা করব সবাইকে জানিয়েই করা উচিত। তাতে এসব মিথ্যা গুজব থেকে বাঁচা যাবে।’