বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ আসনে সায়ন্তিকার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের। সজল ঘোষকে ৮,০০৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
ভোট গণনার শুরু থেকেই সজল-সায়ন্তিকার মধ্যে লড়াই হয়েছে তুমুল। কখনও এগিয়েছিলেন সজল, কখন বা সায়ন্তিকা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ।
এদিন ভোট গণনা শুরু থেকেই বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভাল। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব।’ তবে বেলা যত গড়িয়েছে, ফল তৃণমূল প্রার্থী পক্ষে গিয়েছে। ছয় রাউন্ড গণনার পর এগিয়ে যান অভিনেত্রী।
এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তাকে বাঁকুড়া থেকে দাঁড় করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে জিততে পারেননি। হারলেও এলাকা ছাড়েননি। রীতিমতো অফিস করে এলাকায় কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। তার কথায় ‘আমি হারতে পছন্দ করি না। মনে হয়, সব কিছু করব, যাতে জেতা যায়। বাঁকুড়ার মানুষ জানেন, বিধায়ক যত কাজ করেছেন, আমি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি ওখানে।’
তবে কাজ করেও লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকায় কিছুটা অভিমান ঝরে পড়ে তার গলায়। সেই অভিমানের ক্ষতে প্রলেপ দিতে তাকে বরানগর উপনির্বাচনের প্রার্থী করা হয় ।
প্রার্থী হয়েই তিনি এলাকা ব্যাপক হারে প্রচার চালিয়েছেন। বিধানসভা এলাকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছেন তিনি। সেই পরিশ্রমের ফল পেলেন অভিনেত্রী। বিধায়ক হিসাবে প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখবেন অভিনেত্রী।
সায়ন্তিকার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। জিতলে তিনিও প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতেন। অন্য দিকে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ভূমিপুত্র হলেও এই লড়াইয়ে তৃতীয় স্থানেই থেকে গিয়েছেন তিনি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।