সাইফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যাদের নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিলেন অমৃতা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
১৯৮১ সালে ১২ বছরের ছোট সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেছিলেন অমৃতা সিংহ। বলিউডের এই জুটির বয়সের ফারাক তাদের প্রেম পর্বের শুরু থেকেই ছিল চর্চায়। কিন্তু সংসার পাতার কয়েক বছরের মধ্যেই অশান্তি শুরু দুজনের। দুই সন্তান— ইব্রাহিম ও সারার জন্মও তাদের সম্পর্কের ভাঙন ঠেকাতে পারেনি।
এক দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন পেরিয়ে পথ আলাদা হয় সাইফ-অমৃতার। তবে বিচ্ছেদের পর এক মুহূর্তের জন্যও নিজেকে গুটিয়ে নেননি অমৃতা। চটজলদি ফিরেছিলেন কাজে। মন খারাপ করে এক জায়গায় আটকে থাকেননি। তার নেপথ্যে কারণ কী ছিল, জানালেন অমৃতা।
বাবা-মা যে ভালো নেই, তা অনেক ছোট বয়সেই টের পেয়েছিলেন সারা আলি খান। তবে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একেবারে ঠিক ছিল, খানিক বড় হয়ে বুঝেছিলেন সারা। নিজেই বলেছিলেন, বিচ্ছেদের পর এখন অনেক ভালো আছেন অমৃতা। সুখে আছেন সাইফও।
অমৃতা নিজেই জানিয়েছেন, ছেলে বা মেয়ের কথা ভেবেই বিবাহবিচ্ছেদের পর অবসাদে নিজেকে ডুবিয়ে দেননি তিনি, বরং নতুন করে বাঁচতে চেয়েছেন। অমৃতার কথায়— ‘আমি কোনো দিনও চাইনি আমার সন্তানরা বড় হয়ে ভাবুক আমাদের অপদার্থ বাবা-মা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। তাই বাড়ি বসে অবসাদে ভোগা বা শারীরিকভাবে মুটিয়ে যাওয়া এগুলোকে পাত্তা দিতে চাইনি।’
সারা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার মা দশটা বছর হাসতে ভুলে গিয়েছিল। বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর প্রথম মাকে প্রাণ খুলে হাসতে দেখেছি, আমাদের সঙ্গে মজা করতে দেখেছি। মা-বাবা একসঙ্গে থাকার দিনগুলোতে সেসব কখনো হতো না।’
বিচ্ছেদের পর একাই ছেলে ও মেয়ে— ইব্রাহিম ও সারাকে বড় করে তুলেছেন অমৃতা। তবে সাইফের সঙ্গে তাদের মেলামেশায় বাধা ছিল না কখনই। বড় হয়ে ইব্রাহিম যেন হয়ে উঠেছে অবিকল কম বয়সের সাইফের মতো। আর সারা হুবহু তরুণী অমৃতার মতোই দেখতে। দুই ক্ষেত্রেই এতটাই মিল যে, দুজনের ছবি ধাঁধায় ফেলে দেওয়া অনুরাগীদেরও।