ভারতের মুম্বাইভিত্তিক হিন্দি চলচ্চিত্র যা, বলিউড নামে পরিচিত। পূর্বে বোম্বে সিনেমা নামে পরিচিত ছিল। বলিউডের এক সুপারস্টারের শৈশব কেটেছে বস্তিতে। পরিবারে অভাব অনটনের কারণে পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি জ্যাকি শ্রফ।
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জগ্গু দাদা নামে পরিচিত এই অভিনেতা বিখ্যাত হওয়ার পরও শৈশবে বস্তিতে কাটানো সেই স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি। টাকার জন্য তিনি কখনও হোটেলে কাজ করতেন। আবার কখনও থিয়েটারের বাইরে বাদাম বিক্রি করতেন। এমনকি টাকার জন্য দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারও লাগাতেন।
তখনকার দিনে কোন কাজ বড় আর কোনটা ছোট সেটা তার কাছে বিবেচ্য ছিল না। টাকার জন্য তিনি যে কাজ পেতেন, তাই করতেন। একদিন তিনি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারপর এক ব্যক্তির সঙ্গে তার মারামারি হয়। জ্যাকি শ্রফের লম্বা শরীর এবং আকর্ষণীয় চেহারা দেখে সেই ব্যক্তি তাকে মডেলিংয়ের প্রস্তাব দেন।
জগ্গু তখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন বিনিময়ে টাকা পাবেন কিনা। সেখান থেকেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার শিল্পী হয়ে ওঠেন।
এত সাফল্যের পরও জ্যাকি শ্রফ তার শিকড় ভোলেননি, খুব কাছ থেকে দেখেছেন দারিদ্র্য কাকে বলে। এ কারণেই তিনি সবসময় গরিবদের পাশে দাঁড়ান।
কথিত আছে, মুম্বাইয়ের তিন বাট্টি বালেশ্বর এলাকার যে বস্তিতে জ্যাকি শ্রফ শৈশব কাটিয়েছেন, সেখানকার প্রায় প্রতিটি ভিক্ষুকের কাছেই তার ব্যক্তিগত নাম্বার রয়েছে। তারা যেকোনো প্রয়োজনে অভিনেতাকে ফোন করলেই তাদের সাহায্যে এগিয়ে যান জগ্গু দাদা।
শুধু তাই নয়, জ্যাকি শ্রফ সম্পর্কে আরও বলা হয় যে মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে তার নামে গরিবদের জন্য একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট চালানো হয়। তার অর্থ থেকে ১০০টিরও বেশি দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
জ্যাকি শ্রফের প্রথম ছবি ‘হিরো’ সুপারহিট হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও তিনি প্রায় ৫-৬ বছর বস্তিতে থেকেছেন এবং সকালে বাথরুমের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
জ্যাকি শ্রফ আজ প্রায় ২১২ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। মুম্বাইয়ে তার অনেক বাড়ি আছে। এছাড়াও, অভিনেতার কাছে বিএমডব্লিউসহ অনেক বিলাসবহুল গাড়ির রয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস