ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বর্ষা। কাজের ব্যাপারে ভীষণ চুজি। অবশ্য গড়পরতা কাজ করেনও না। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে গত বছর ঈদে ‘কিল হিম’ সিনেমায়। এবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ সিনেমার সিকুয়্যালের। হাতে রয়েছে আরও দুটি সিনেমার কাজ। এদিকে ব্যবসায়ী হিসাবেও তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো....’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
‘কিল হিম’-এ আপনাকে দেখা গিয়েছিল একেবারে ভিন্নরূপে। কেউ বলেছেন ভিলেন, কেউ বলেছেন এন্টিহিরো। আপনার মতে সেই চরিত্রটি কী ছিল?
সিনেমাটি যারাই দেখেছেন, তারাই এ প্রশ্ন করেছেন। তখনও বলেছি, এখনও বলছি, ওই সিনেমায় আমি নায়িকার খোলস ছেড়ে বের হতে চেয়েছিলাম। আমি একজন অভিনেত্রী, এটাই দেখাতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমি সাকসেস। দর্শকরা আমার চরিত্রটি পছন্দ করেছেন। কিছু ভুল ত্রুটি থাকবেই, সেটা বাদ দিলে ‘কিল হিম’র সেই চরিত্রটিকে একজন অভিনেত্রীর মনের যে খোরাক, অভিনয়ের যে আকাঙ্ক্ষা. সেটাই পূরণ করেছে বলে আমি মনে করি।
‘কিল হিম-২’ অর্থাৎ সিকুয়্যালেও কী আপনাকে একই চরিত্রে দেখা যাবে?
এটা এখনই বলতে চাইছি না। দর্শকের জন্য চমক থাকবে। তবে এখানেও আমার অভিনয়ের জায়গা থাকবে, যে চরিত্রে অভিনয় করবো সেটা দর্শকদের পছন্দ হবে, সেটা বলতে পারি।
কবে নাগাদ এ সিনেমার শুটিং শুরু হবে?
প্রস্তুতি চলছে। বাকিটা পরিচালক ইকবাল ভাই সময়মত জানাবেন।
আপনার অভিনীত ‘নেত্রী : দ্য লিডার’ নামে একটি সিনেমার কাজও অসমাপ্ত রয়ে গেছে। এর কাজ করে শেষ করবেন?
‘নেত্রী : দ্য লিডার’ আমার ক্যারিয়ারে সিগনেচার একটি কাজ হবে। এতে আমি নাম ভূমিকা অর্থাৎ নেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব। বেশিভাগ কাজই শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় শিল্পীদের শুটিংও করেছি। অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। সেটা ইউরোপে করার কথা ছিল। কিন্তু যে সময়টা শুটিংয়ের জন্য ধার্য ছিল, তখন ইউরোপে বেশ বরফ পড়ছিল। এ কারণে তখন শুটিং বাতিল করতে হয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের ব্যবসায়িক কারণে কিছুটা ছেদ পড়ে কাজে। এখন আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই এ সিনেমার বাকি কাজ শেষ করে ফেলব।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখন নায়িকাদের প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। তবে সেটা কাজের নয়, ব্যক্তিগত চর্চার। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আমি আসলে এতকিছু দেখিও না। ব্যবসায়িক কাজে ফ্যাক্টরি নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতে হয় তাতে অন্যকিছু দেখার বা ভাবার সময় পাই না। যেটুকু সময় পাই সেটা সংসার ও সন্তানদের জন্য ব্যয় করি। তবুও দু’একটি কথা যে কানে আসে না তাও নয়। শুনি কিছু। আমি মনে করি, প্রতিযোগিতা হলে কাজ নিয়েই হওয়া উচিৎ। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুড়ি কখনোই প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে না। এগুলো কখনোই কাম্য নয়। আমাদের সিনিয়র নায়িকারা নিজেদের কাজ দিয়েই আলোচনায় ছিলেন, প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সুতরাং যারা এগুলো করছে তাদের বলবো, এসব বাদ দিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে। দিনশেষে কাজটাই দর্শকরা মনে রাখে। ব্যক্তিচর্চা দিয়ে কখনোই সম্মান আসে না, বরং হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা তৈরি হয়।
অন্য নায়িকাদের মতো আপনাকে শোরুম উদ্বোধন কিংবা শুভেচ্ছাদূত হতে দেখা যায় না। ইচ্ছা করে না এসব করতে?
আগেই বলেছি, আমার খুব একটা সময় নেই। নিজের ফ্যাক্টরিতেই সময় দিতে হয়। কাছের মানুষদের বিশেষ অনুরোধ আমি ও অনন্ত হয়তো দু’একটা আয়োজনে যাই। এটি ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় নয়, আমার মনে হয়, আমি যে কাজ করছি সেটাই আমার জন্য সম্মানের। যদি কোনো কাজে সম্মান থাকে, তাহলে সময় পেলে সেটা করতে আমার আপত্তি নেই।
ঈদে কোথায় থাকবেন?
প্রতি বছরই ঈদের ছুটিটা বাচ্চাদের নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করি। এবারও এরকম প্ল্যান আছে। তবে, এখনও জানি না কোথায় যাব।