ফাইল ছবি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন অভিনেতা মাহমুদ কলি। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের অভিনেতা মাহমুদ কলি। দীর্ঘদিন তিনি রূপালী পর্দায় দর্শক মাতিয়েছেন। সুন্দর মুখ, সুঠাম লম্বা দেহ, স্টাইলিশ চুল-মাহমুদ কলিকে দিয়েছিল অন্য নায়কদের চেয়ে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা।
নিপুণের প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন এই অভিনেতা বলে জানা গেছে। রোববার বিকালে শিল্পী সমিতিতেও দেখা গেছে তাকে।
আরও পড়ুন: জায়েদ খানের বউ হচ্ছেন সায়ন্তিকা?
উল্লেখ্য, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা।
মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন।
মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তারমধ্যে ২টি সিনেমা মুক্তির মুখ দেখেনি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘গোলমাল’, ‘নেপালি মেয়ে’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘সুপারস্টার’, ‘গ্রেফতার’, ‘খামোশ’, ‘মহান’, ‘দেশ বিদেশ’, ‘মা বাপ’ ইত্যাদি।
শাবানা, ববিতা, রোজিনা, অলিভিয়া, দিতি, চম্পা, অঞ্জনা, সূচরিতা, নূতনসহ অনেক নায়িকার সঙ্গেই তাকে দেখা গেছে সপ্রতিভ। তিনি কলকাতার দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে ‘সবার উপরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর পরিচালক ছিলেন শওকত জামিল।
১৯৯৪ সালে নায়ক হিসেবে মাহমুদ কলি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তি পায়। এর নাম ছিলো ‘মহাগ্যাঞ্জাম’। তবে ২০০২ সালে তাকে আবারও দেখা গিয়েছিলো ‘আবার একটি যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে। সেখানে তিনি উকিল চরিত্রে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। এরপর তিনি একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৫-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তবে এর পরের বছরে তিনি অভিনেতা মিজু আহমেদকে নিয়ে নতুন প্যানেলে সভাপতি পদে প্রার্থী হন এবং নির্বাচিত হন। ৯৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।