নৃত্যের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনেত্রী হিসাবেই বেশি পরিচিত সোহানা সাবা। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও নিয়মিত দেখা গেছে তাকে।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘অসম্ভব’ নামে একটি সিনেমা। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* সম্প্রতি আপনার অভিনীত ‘অসম্ভব’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন?
** মাত্র দুদিন হলো আমাদের সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু দর্শক যেভাবে সাড়া দিচ্ছে তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত এবং আপ্লুত। সবার এত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের অভিনয়, সিনেমার গল্পের সঙ্গে তারা কানেক্ট করতে পারছে। এমনকি আমাদের সহকর্মী এবং ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছেই বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক হয়েছে।
* এ সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
** অসাধারণ অভিজ্ঞতা। মনেই হয়নি যে, কোনো কাজ করছি। ‘অসম্ভব’-এর শুটিং হয়েছে অরুণা দি’র (সিনেমার পরিচালক অরুণা বিশ্বাস) মায়ের বাড়ি, অর্থাৎ মানিকগঞ্জে। তাই জোৎস্নামাসি (অভিনেত্রী জোৎস্না বিশ্বাস, অরুণার মা) আমাদের সঙ্গেই ছিলেন পুরো শুটিং জুড়ে। একদম পারিবারিক একটা পরিবেশে শুটিং করেছি আমরা। আর অরুণাদি নিজেই একজন অভিনয়শিল্পী। তাই অভিনয়, নির্মাণ এবং এর সংশ্লিষ্ট সব কাজ তিনি খুব ভালোভাবেই বোঝেন। তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাই সব কিছু সুন্দরভাবে শেষ করেছি আমরা।
* বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হতে হয়েছে?
** না, তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। সিনেমাটি দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবে এ গল্পটা তার খুব পরিচিত। যেন পাশের বাড়ির কোনো গল্প বলা হয়েছে। তাই আলাদা করে কোনো চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আসলে কাজে চ্যালেঞ্জ কম থাকে। কাজটা দর্শক পর্যন্ত পৌঁছানোটাই চ্যালেঞ্জিং। অবশেষে আমরা সেটা পেরেছি।
* আপনাকে কম কাজ করতে দেখা যায়। কেন?
** আমি একটু বেছে কাজ করতে পছন্দ করি। আমার এতদিনের ক্যারিয়ারে মাত্র পাঁচটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। যার মধ্যে আফসানা মিমি আপুর পরিচালিত ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ উল্লেখযোগ্য। সিনেমার ক্ষেত্রেও তাই। ‘আয়না’, ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’-সবই খুব ভেবে চিন্তে পছন্দ করেছিলাম। ধারাবাহিক না করার প্রধান কারণ আমি কাজ করে আরাম পাই না। আর সিনেমা কম করার কারণ গল্প পছন্দ হয় না। বারবার একই চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে স্কুলে হাজিরা দেওয়ার মতো। তাই বৈচিত্র্য খুঁজি। তবে যা করেছি, যতটুকু কাজ করি আমি তাতেই সন্তুষ্ট।
* এ ছাড়া আর কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
** এখন কিছুদিন ‘অসম্ভব’ নিয়েই ব্যস্ত থাকব। বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শনে যাব। কিছু প্রমোশনাল ইভেন্ট আছে, শো আছে। এগুলো নিয়েই ব্যস্ততা। আফজাল (নির্মাতা-অভিনেতা আফজাল হোসেন) ভাইয়ের প্রথম সিনেমা ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ প্রস্তুত মুক্তির জন্য। আর কলকাতার নির্মাতা ‘হরনাথ চক্রবর্তীর সিনেমা ‘এপার-ওপার’র কাজও শেষ। কিন্তু কোভিডের কারণে তখন আমরা সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারিনি। দেখা যাক, কবে কী সিদ্ধান্ত হয়। ওটিটি নিয়েও কথা চলছে। এ ছাড়া খুব শিগ্গির একটা নতুন পরিচয়ে সামনে আসছি।
* নতুন পরিচয়টা কী?
** শিগ্গির একটা যোগব্যায়াম স্কুল খুলতে যাচ্ছি। সেখানে একজন যোগী বা যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক হিসাবে থাকব আমি। এ ছাড়া এ স্কুলে আমার অর্গানিক ফুড প্রোডাক্টও থাকবে।