দুই বছর ধরে গৃহবন্দি কণ্ঠশিল্পী পাখি সরকার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৫ পিএম
আমি একজন বাউল শিল্পী। আমি প্রায় দুই যুগ ধরে দেশ-বিদেশে বাউল গান পরিবেশন করে সংসার চালাই। গান গাওয়া আমার একমাত্র পেশা। সাবেক স্বামীর হয়রানির শিকার হয়ে গত দুই বছর ধরে আমি গান গাইতে পারছি না। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। নিজের জীবনটাই এখন হুমকির মুখে। আমার একমাত্র পুত্রসন্তানকে আমি কিভাবে বাঁচাব। ন্যায়বিচার পেতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। রোববার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথা বলছিলেন সঙ্গীত শিল্পী পাখি সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে পাখি সরকার বলেন, আমার সাবেক স্বামী শফিক সৌদি প্রবাসী। শফিকের সঙ্গে ২০১৩ সালে আমার বিয়ে হয়। ওই সংসারে একটি ছেলেসন্তান হয়। ছেলেটি বর্তমানে নাকে টিউমারজনিত কারণে অন্ধ হওয়ার উপক্রম। সে আমাদের কোনো খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে ২০২০ সালে তাকে তালাক দিই। পরে আমি আমির হোসেনকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করি। এখানেও একটি পুত্রসন্তান হয়। আমার দ্বিতীয় দাম্পত্য জীবন সুখে-স্বাচ্ছন্দেই চলছিল; কিন্তু প্রথম স্বামী আমার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে সৌদি আরব থেকেই তিনি আমাকে একের পর এক হুমকি দিচ্ছিলেন। ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও আপলোড করে আমার জীবন বিষিয়ে তুলেছেন। আমি কোথাও গান গাইতে গেলে সেখানে স্টেজে হামলা করা হচ্ছে। এমনকি আমার সন্তানকে নিয়েও আজেবাজে পোস্ট দিচ্ছেন।
পাখি সরকার জানান, গত ২৩ আগস্ট আমার সাবেক স্বামী সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। ছেলেসন্তানকে দেখার উছিলায় আমার বর্তমান স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাসায় আসেন। বাসায় প্রবেশের পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ রুমের দরজা লক করে আমাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করা হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। আমি এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন।