সুরসম্রাট এআর রহমানের চেন্নাই শো তে রোববার এতোটাই ভিড় হয়েছিল যে, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকে টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। চলেছে তুমুল ধাক্কাধাক্কি। রোববার শোয়ের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিতে থাকেন দর্শকরা। অবশেষে গোটা ঘটনায় মুখ খুললেন খোদ রহমান।
এআর রহমান এদিন টুইটারে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, চেন্নাইয়ের ভক্তরা, যারা টিকিট কেটেও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এবং ঘটনার জন্য শো দেখতে পারেননি, ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি তাদের অনুরোধ করব তারা যেন তাদের টিকিটের কপি arr4chennai@btos.in -এ শেয়ার করুন। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে এখানে মেইল করুন। আমাদের টিম আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
তিনি কেবল টুইটার নয়, ইনস্টাগ্রামেও এই বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, সকলে আমায় G.O.A.T বলেন, কিন্তু এবার আমি না হয় বলির পাঁঠা হলাম যাতে সকলে সচেতন হন এবং চেন্নাইয়ের লাইভ আর্টে আরো উন্নতমানের পরিষেবা পান, ট্যুরিজম বাড়ে, ভিড় সামলানোর দক্ষতা বাড়ে, ট্রাফিক ম্যানেজ করতে শেখে। সকলে যেন মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তার দিকটাও খেয়াল রাখে।
রহমানের এ শোটি প্রাথমিকভাবে আগস্টে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেটা পিছিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর করা হয়। এই লাইভ মিউজিক কনসার্টটি এসিটিসি ইভেন্ট আয়োজন করেছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
চেন্নাইয়ের এক সাংবাদিক এই ঘটনাকে অন্যতম খারাপ অভিজ্ঞতা বলে জানান। এক ব্যক্তি এদিন টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, আমার দেখা সব থেকে জঘন্য কনসার্ট। ভিআইপি জোনের টিকিট ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তারপরও কোনো নিরাপত্তা ছিল না। গোটাটাই একটাই জোন ছিল। আয়োজকরা অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেছেন। ভিআইপি এরিয়া থেকেও স্টেজ দেখা যায়নি। কোনো বাউন্সার ছিল না। সব জায়গা থেকে লোক ঢুকে পড়ছিল।
যদিও এসব দাবি মোটেই মানতে নারাজ আয়োজকরা। তাদের মতে শো হাউজফুল হয়েছে।