আমার ছবি কেন, নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করব: জেবা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্কণের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট দিয়ে অভিনেত্রী জেবা জান্নাত নিজের ফেসবুকে লিখেছেন- এ সবই ভুয়া খবর। আমি জানি না, কেন তারা আমার ছবি ব্যবহার করছে।
জেবা জান্নাত লিখেছেন- আমি তো জেবা চৌধুরী না। এসব নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করব। এটা তো অপরাধ। আমার ছবি কেন ব্যবহার করবে তারা।
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে পরিচয়দানকারী জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। তবে এ সংবাদে কয়েকটি গণমাধ্যমে তার পরিবর্তে ছবি ছাপা হয়েছে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতের।
বুধবার দুপুরে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম রায় ঘোষণার পর ওই সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানান জেবা জান্নাত।
ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পী জেবা জান্নাত আলোচনায় আসেন গত জুনে টেলিভিশন নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর। অসহযোগিতা ও অসদাচরণের কারণে জেবাকে কোনো ধরনের অভিনয়ের জন্য নেওয়া হবে না বলে তখন জানায় সংগঠনটি।
এরপরই মুখে খোলেন জেবা। তিনি বলেন, বুঝতে পারছি না আমি কেন নিষিদ্ধ হলাম। বছরখানেক আগে পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের কয়েকটা কাজ করেছি। এরপরই ওনার ওয়াইফ লাজুক ভাবির একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন, তো আমি কাজটা করতে রাজি হই।
জেবা বলেন, আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল শেষের দিকে। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এতে তারা আমাকে থ্রেট দেন। আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেই।
অভিনেত্রী বলেন, ওই ঘটনার পরে লাজুক ভাবির হাজবেন্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করি বা প্রেম করি তাহলে সব কিছু ঠিক করে দেবেন। লাজুক ভাবির হাজবেন্ড যে বাজে অফার দিয়েছিলেন তা আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। এরপর থেকেই আমার পেছনে লেগেছেন তারা।
জেবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন দোদুল। তিনি বলেন, তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে নিয়ে মিথ্যা নাটক সে সাজাচ্ছে। মিথ্যা ঘটনা সে তৈরি করছে। জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের কাজ সে করছে।
জয়নাল হাজারির ফেসবুক টকশোতে প্রথমবার হাজির হয়েছিলেন জেবা জান্নাত। এরপর পরিচিতি পান টিকটকে। পরে টেলিভিশন নাটকে কাজ করা শুরু করেন তিনি।