চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় গানে হাতেখড়ি। বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গান গেয়ে হন ভাইরাল।
‘নয়া দামান’ গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন তসিবা বেগম। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্বপ্নের পথ ধরে হেঁটে চলেছেন। যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন এই সিলেটিকন্যা।
যুগান্তর: সবসময় হাসিখুশি থাকেন। রহস্য কী?
তসিবা: দেখুন, ছাড় দিয়ে চললে জীবনে অশান্তি কমে। কেউ অন্যায় করলে তাকে আপনি মাফ করে দেন। মানুষ কারো ভেতরটা দেখতে পায় না। আপনি যদি কারো সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন, ভালো ব্যবহার করেন তাহলে সে সারা জীবন মনে রাখবে। এটা আমার পারিবারিক শিক্ষা।
যুগান্তর: শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিতা পাওয়ার আগে ও পরের জীবনের মধ্যে পার্থক্য কেমন?
তসিবা: আমার আগে আর পরে বলে কিছু নেই। আগে যেমন ছিলাম, এখন তেমনই আছি। এমন তো নয় যে, আমি আলিশান গাড়ি নিয়ে ঘুরছি। আমার চলাফেরা, খাওয়া, পোশাক-সবই খুবই সাধারণ। বাকি জীবনটা এভাবেই চলতে চাই।
যুগান্তর: বিয়ে করছেন কবে?
তসিবা: আল্লাহ জানেন (হাসি)। বলছি না যে, দশ বছর পরে করব। এমন আছে কালই বিয়ে করে ফেলতে পারি। আমার পছন্দের তেমন কেউ নেই। পরিবারের পছন্দেই সুন্দরভাবে বিয়ে করতে চাই।
যুগান্তর: জীবনসঙ্গী হিসাবে কেমন মানুষ পছন্দ?
তসিবা: আমার মতোই সহজ-সরল। বেশি সেনসিটিভ না হলেও চলবে। সে যেন আমার সঙ্গে মন খুলে সবকিছু শেয়ার করতে পারে। আমার ভুল হলে লুকিয়ে না রেখে সরাসরি যেন বলে। পরামর্শ দিতে পারে। এমন মানুষই আমার পছন্দ।
যুগান্তর: আপনার কাছে ভালো গানের সংজ্ঞা কী?
তসিবা: এখন অনেক ধরনেরই গান হচ্ছে। দেখা যায়, কিছু গান হুট করেই ভাইরাল হয়। আবার কয়েক দিনের মধ্যেই তা হারিয়ে যায়। ভাইরাল মানেই ভালো গান নয়। যে গান মানুষ যুগের পর যুগ হৃদয়ে ধারণ করে আমার কাছে সেটাই ভালো গান। এখানে ভিউ কোনো ব্যাপার না। আমার অনেক গান আছে যেগুলোর ভিউ অন্য গানের তুলনায় খুবই কম। কিন্তু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষ ওই গানগুলোই শুনতে চায়। যদি শুধু ভিউয়ের পেছনেই ছুটি, তাহলে আমরা ভালো শিল্পীদের হারিয়ে ফেলব।