Logo
Logo
×

বিনোদন

বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তরুণী

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৯:৪৪ এএম

বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন তরুণী

বাবার হাত ধরে নাটক শেখার জন্য কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী। স্বপ্ন ছিল নাটক শিখে অভিনেত্রী হবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অচিরেই ভেঙে গেল। সহজ-সরল কিশোরী মনের সুযোগ নিয়ে নিয়মিত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা যৌন হেনস্তা করতে থাকেন বলে জানান কিশোরী।

এই কিশোরী এখন যুবতী, বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে। 

রোববার ফেসবুকে ওই যুবতী জানান, ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন। উদ্দেশ্য ছিল নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজার কাছ থেকে নাটক শিখবেন। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন।

ভুক্তভোগীর কথায়, ক্লাসের অন্ধকার দিকে নিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। মা-বাবার সামনে বলতেন তার মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে বুকে পেটে তার মাথা ঘষতেন। সেই সময় বিষয়গুলো বুঝতাম না। আবার বাড়ির মানুষদের সামনে এমন ব্যবহার করতেন, যেন আমাকে কত স্নেহ করেন।

যুবতী আরও বড় বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, প্রতি শনিবার ক্লাসের ৩০ মিনিট আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। ক্লাসে যাওয়ার পর আমার পুরো শরীরে বিশ্রীভাবে হাত বোলাতেন। কখনো কখনো আমার মুখে তার ঠোঁট ডুবিয়ে দিতেন। এসব বিষয়ে কখনো তার চোখে-মুখে অপরাধবোধ দেখিনি। ভাব করতেন, যেন আমি সম্মতি দিয়েছি তাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী ভুক্তভোগী যুবতী আরও লেখেন, প্রথম দিন বাবা আমাকে ক্লাসে দিয়ে যায়। এরপর থেকে আমাকে বাড়ি দিয়ে আসতে বলেন রাজা। আমি প্রথমে না বুঝেই রাজি হই। তিনি রাস্তার অন্ধকার জায়গায় মোটরসাইকেল থামিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে কিছুটা বুঝতে পারি।

যুবতী লেখেন, তাকে বিরক্ত লাগতো, ঘৃণা করতে শুরু করি। কিন্তু কখনো সাহস করে কিছু বলতে পারিনি। কলকাতায় তার অনেক প্রভাব। ভেবেছিলাম কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর না। টানা ৪ বছর, অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি তার ক্লাস ছেড়ে দেই। এবার মুখ খুললাম।

অভিযোগকারী যুবতী জানান, রাজার প্রকৃত রূপ প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে চাইলে হাত-পা ধরেন তিনি। তবে নাট্য ব্যক্তিত্বকে পাত্তা দেননি যুবতী। নিজে যে খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন, তার মধ্য দিয়ে যেন আর কাউকে যেতে না হয়, সে জন্যই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম