Logo
Logo
×

বিনোদন

সরকারি অনুদান পেলেন যেসব শিল্পী

Icon

আনন্দনগর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

সরকারি অনুদান পেলেন যেসব শিল্পী

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসারের জন্য সরকার ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর থেকে প্রতি বছর আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। 

নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুদান প্রদান করে। মাঝে কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও প্রক্রিয়াটি এখনো চলমান।

তবে অনুদান প্রক্রিয়া নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন থেকে যায়। সিনেমা শিল্পের উন্নয়ন কিংবা প্রসার যাই বলা হোক না কেন, এ পর্যন্ত অনুদানের সিনেমা এই শিল্প উন্নয়নের কোনো ভূমিকা রাখেনি বলেই অভিমত বিজ্ঞজনদের।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কারা পায় এই অনুদান? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে। তবু অনুদান প্রক্রিয়া থেমে নেই। যথারীতি চলতি অর্থবছরেও (২০২২-২৩) ঘোষিত হয়েছে সরকারি অনুদানের প্রজ্ঞাপন। কারা পাচ্ছেন এবারের অনুদান?

তালিকায় দেখা গেছে, এবারো অপরিচিত প্রযোজক, পরিচালকের পাশাপাশি সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রীদের নামও আছে। 

অন্যদিকে বারবার অনুদান পাচ্ছেন এমন কারও কারও নামও আছে এবারের তালিকায়। অথচ ভালো কোনো সিনেমা, যা ইন্ডাস্ট্রির চাকা সচল করতে পারে, সেটা নির্মাণের কোনো ইতিহাস নেই তাদের।

এ বছর ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা সরকারি অনুদান পাচ্ছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ১টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ১টি, সাধারণ শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। 

পূর্ণদৈর্ঘ্য বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছে নূর ইমরান মিঠুর প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘সার্কাস’ এবং প্রযোজক হিসেবে নাট্যকার ও নির্মাতা মাতিয়া বানু শুকুর ‘লাল মিয়া’ নামের সিনেমা। 

মুক্তিযুদ্ধ শাখায় বদরুন নাহার রক্সি ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য পাচ্ছেন ৬০ লাখ টাকা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ‘ভোর’ সিনেমার জন্য একই পরিমাণ অনুদান পাচ্ছেন মাহিন মাহনুমা। 

শিশুতোষ শাখায় ‘মাটির রাজকুমার’ সিনেমার জন্য প্রযোজক হিসেবে ৬০ লাখ টাকা পাচ্ছেন অভিনেত্রী শামীমা ইসলাম তুষ্টি। ‘মস্ত বড়লোক’ নামে একটি সিনেমার জন্য একই শাখায় একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব। 

সাধারণ শাখায় ৬০ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (মাস্টার), প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক (দ্য আগস্ট), প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী (রেনুর মুক্তিযুদ্ধ), প্রযোজক হিসাবে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি (লারা)।

একই বিভাগে ‘দেনা পাওনা’র জন্য প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। ‘দুই পয়সার মানুষ’ সিনেমার  প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে ঝুমুর আসমা জুঁই পাচ্ছেন ৫৮ লাখ। ৫৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন প্রযোজক মীর জাহিদ হাসান ও পরিচালক রাখাল সবুজ (‘সর্দারবাড়ির খেলা), প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে আনোয়ার হোসেন পিন্টু (ঠিকানা), প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল (জীবন আমার বোন), প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও পরিচালক কৌশিক শংকর দাস (সূর্য সন্তান), প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এসএম তারেক রহমান (শিরেনাম), প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক (শাপলা শালুক) ও প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালক জহির রায়হান (আমার মুক্তি আলোয় আলোয়)।

‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’ সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে সংগীতশিল্পী এস ডি রুবেল, ‘নীল জোসনার জীবন’ সিনেমার জন্য প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান, ‘রুখসার’র জন্য প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পাচ্ছেন ৬০ লাখ টাকা করে।

এছাড়া অন্যান্য শাখায় প্রতিটি সিনেমার জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন ‘নিশিবক’র (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ জহির, ‘নদাই’র (শিশুতোষ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক পথিক শহিদুল, ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’র (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালনা মীর শামছুল আলম বাবু, ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান, ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি এবং ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম