ইউক্রেন বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী পরিচালক জেনি স্টুপনিটস্কির কমেডি সিনেমা ‘নো হার্ড ফিলিংস’ যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে ২৩ জুন। এটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের হার্টথ্রব অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স।
এ সিনেমায় উবার চালক মেডির ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। তাকে অনুসরণ করেই এগিয়ে চলে সিনেমার পুরো গল্প। এ গল্পের উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ হিসাবে রয়েছে বয়োঃসন্ধিকাল পেরোনো দুটো চরিত্র। কলাম্বিয়া পিকচার্স ও এক্সিলেন্ট ক্যাডেভার প্রযোজিত ও সনি পিকচার্স পরিবেশিত সিনেমাটি এরই মধ্যে হলিউড দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
কারণ একটাই-জেনিফার লরেন্সের ‘অন্যরকম’ উপস্থিতি। মার্কিন সাবেক টিভি অভিনেত্রী জেনিফার ২০০৮ সালে জেসন ফ্রিল্যান্ড পরিচালিত ‘গার্ডেন পার্টি’র মাধ্যমে হলিউড সিনেমায় অভিষিক্ত হন। এক্স-ম্যান সিরিজের আকর্ষণীয় এ অভিনেত্রী প্রথম সাড়া জাগিয়েছেন ২০১২ সালে সিলভার লাইনিংস প্লেবুক সিনেমার মাধ্যমে।
এ সিনেমার টিফানি ম্যাক্সওয়েল চরিত্রটিতে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্জন করেন কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কারও। পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট অ্যাক্ট্রেস। আর এ অর্জনের মাধ্যমেই তিনি হয়ে ওঠেন অস্কারের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ সেরা অভিনেত্রী। ২০১৩ সালে ডেভিড ও’ রাসেল পরিচালিত কমেডি ড্রামা ‘আমেরিকান হাস্ল’ সিনেমায় অভিনয় করে জিতে নেন গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা ও অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড।
এর ফলে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তৈরি তালিকা অনুযায়ী জেনিফার লরেন্স ২০১৫ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী হিসাবে রেকর্ড গড়েন। ক্যারিয়ারের ১৬ বছরে তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ২৮টি সিনেমার নাম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সম্যান সিরিজের তিনটি ও ‘দ্য হাঙ্গার গেম্স’-এর দুটি সিনেমা।
এছাড়া তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে-‘প্যাসেঞ্জার্স’, ‘মাদার’, ‘রেড স্প্যারো’, ‘ডার্ক ফনিক্স’, ‘কজওয়ে’ প্রভৃতি।