ঈদে আসছে ‘প্রহেলিকা’। সিনেমার প্রধান নারী অর্পা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী। এটি বাঙালি রমণীর চিরায়ত বঞ্চনার গল্প, যেখানে আছে নারী জীবনের পাওয়া না পাওয়ার টানাপোড়ন।
আহা কি যে পরীর মতো সুন্দর অর্পা! গায়ের রংটাও যেন দুধে আলতা। যেনো পুরো জীবনে কেউ কোনদিন এমন অপরুপা চোখের সামনে দেখেইনি। সত্যিই কি মানুষ এমন সুন্দর হতে পারে? অর্পা কিন্তু শুধু দেখতেই সুন্দর না.....মানুষটাও ভীষণ নরম মনের। মুহূর্তে আপন করে নিতে জানে। গান জানে.....হাতের কাজ পারে....রান্না ভালো.....আরও যে কতো কি সেটা বলে শেষ করা যায় না। কিন্তু এতো কিছুর পরেও অর্পা কি স্বপ্নের জীবন খুঁজে পেলো? যাকে অবলম্বন করে অর্পা স্বপ্ন সাজাতে চাইলো সে কি তাকে শেষ পর্যন্ত আগলে রেখেছিল? অর্পার জীবনটা কি অর্পার মতোই সুন্দর? এ কোন খাঁচায় বন্দি অর্পা? সেকি শেষ পর্যন্ত মুক্তির দেখা পাবে? বাঙালি রমণীর এ চিরায়ত বঞ্চনার শেষ কি প্রাপ্তির আনন্দে শেষ হতে পারে না?
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেছেন, প্রহেলিকা একটি গল্প প্রধান সিনেমা। এই সিনেমা দাঁড়িয়ে আছে কিছু চরিত্রের প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি আর নিয়তির ইচ্ছের ওপর। এক অপূর্ব সুন্দরী অর্পার জীবনের চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাষের টানাপোড়নে যে রহস্যের ধূমজাল তৈরি হয়েছে তাই ধারণ করেছে প্রহেলিকা।
চিত্রনায়িকা বুবলী বলেন, প্রহেলিকার পুরো জার্নিটা আমার জন্য মুগ্ধতার নাম। আমরা মেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ, অনেক বেশি ভালোবাসা চাই, ভালোবাসতে চাই। যে মানুষটাকে ভালোবেসেছি তাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই। তাকে সম্মান দিয়ে তার বলা, না বলা কথা একসেপ্ট করে তার পাশে থেকে কিভাবে নিজের জীবনটা সুন্দর করা যায় সেসব কিছুই আছে প্রহেলিকার গল্পে। তাই বলবো প্রহেলিকার প্রধান শক্তি গল্প।
রঙ্গন মিউজিক প্রযোজিত ‘প্রহেলিকা’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন জামাল হোসেন ও পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। এটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ, বুবলী, নাসির উদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু, রহমত আলী, সাবিহা জামান, শ্যামল জাকারিয়া প্রমুখ।