Logo
Logo
×

বিনোদন

‘সুরজ নির্দোষ হলে আমার মেয়ে মরল কীভাবে’

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম

‘সুরজ নির্দোষ হলে আমার মেয়ে মরল কীভাবে’

দীর্ঘ ১০ বছরের অপেক্ষা শেষে খালি হাতেই আদালত থেকে ফিরতে হল জিয়া খানের মা-কে। জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ থেকে প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে নির্দোষ ঘোষণা করল বিশেষ সিবিআই আদালত। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

শুক্রবার দুপুর ১২টার পর বিচারক এএস সাইদ ঘোষণা করেন উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস সুরজ পাঞ্চোলি। এই রায় বড় ধাক্কা জিয়া খানের মা রাবিয়া খানের জন্য। মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের অপেক্ষায় লম্বা সময় ধরে লড়াই চালাচ্ছেন রাবিয়া। 

এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পর বিধ্বস্ত রাবিয়া খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ আত্মহত্যার প্ররোচণার দায় থেকে রেহাই পেয়েছে। কিন্তু মার্ডারের অভিযোগ তো এখনও রয়েছে। প্রশ্ন হল আমার মেয়ে মরল কীভাবে? মৃত্যুর কারণ নিয়ে তো এখনও প্রশ্ন রয়ে গেল’।

এরপর রাবিয়া খান বলেন, ‘আমি তো শুরু থেকে বলছি এটা আত্মহত্যার কেস নয়, মার্ডার করা হয়েছে। আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব’। 

অন্যদিকে সুরজের মুক্তির পর পাঞ্চোলি পরিবারে খুশির হাওয়া। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নামেন সুরজ। অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তার মা জারিনা ওয়াহাব। আদালত দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এ মামলার রায় ঘোষণা করে। স্বাভাবিকভাবেই এই রায়ের পর পাঞ্চোলি পরিবারে খুশির হাওয়া। 

২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় জিয়ার ঝুলন্ত দেহ। সিসিটিভি ফুটেজেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফ্ল্যাটের ভিতর ঢুকতে দেখা গিয়েছিল জিয়াকে। জিয়ার মৃত্যুর পর তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুরজ পাঞ্চোলি। বেশ কয়েক বছর ধরেই লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন সুরজ। পরে জামিনে মুক্তি পান সালমান খানের ‘হিরো’।  

জিয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করত সুরজ, এমনটাই অভিযোগ প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালের ৩ জুলাই মুম্বাই পুলিশের হাত থেকে সরে সিবিআইয়ের জিম্মায় যায় এ মামলা। ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন বলিউড নায়িকা। ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা-সিবিআই।

২০১৯ সালে সেশন কোর্টে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু তা খুব বেশি দূর এগোয়নি। দীর্ঘ আট বছর ঝুলে থাকার পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিয়ার আত্মহত্যার মামলা সেশন কোর্ট থেকে সরে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। শুক্রবার সেই মামলারই রায় জানাল আদালত। এ রায়ে অনেকটাই স্বস্তিতে সুরজ ও তার পরিবার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম