আনুশকার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন করণ জোহর!
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম
কেউ লিখেছেন- ‘বাহ। উনি নিজেই তাহলে স্বীকার করছেন যে, তিনি আনুশকার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।’ কেউ লিখেছেন- ‘করণ হয়ত এমন অনেকের ক্যারিয়ারই নষ্ট করেছেন, যারা বলিউডে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগটিও পাননি।’
‘আমিই এক প্রকার আনুশকা শর্মার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে উদ্যত হয়েছিলাম’- একদিন এ কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছিলেন করণ জোহর। তাও আবার প্রকাশ্যেই। ২০১৬ সালের ‘মামি মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে কথোপকথনের সময় এ কথা নিজের মুখেই বলেন করণ। ঠিক কী ঘটেছিল?
যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ‘রব নে বনা দি জোড়ি’। সেই ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে বলিউডে পা রাখেন আনুশকা শর্মা। আর এটিই ছিল আনুশকার ডেবিউ ফিল্ম। যেটি সুপারহিট হয়। এরপরে অবশ্য যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে বেশকিছু ছবিতে কাজ করেন আনুশকা। করণ জোহর ২০১৬ সালের ‘মামি মুম্বই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর এক অনুষ্ঠানের আলাপচারিতায় ঐশ্বর্য রাই ও আনুশকার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে করণ জোহর বলেন, আমি সম্পূর্ণরূপে আনুশকা শর্মার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ আদিত্য চোপড়া যখন আমাকে ওঁর (আনুশকার) ছবি দেখিয়েছিলেন রব নে বনা দি জোড়ির জন্য, তখন আমি বলেছিলাম- না, না, পাগল নাকি, তুমি ওকে সই করাচ্ছ, তুমি কি পাগল! তোমার এই আনুশকা শর্মাকে সই করানোর দরকার নেই। সেই সময়ে আরও একজন অভিনেত্রী ছিলেন, আমি চেয়েছিলাম আদি (আদিত্য চোপড়া) ওই ছবির জন্য ওঁকে সই করান। এক্ষেত্রে আমি এক্কেবারে নাশকতার চেষ্টায় ছিলাম। ছবি মুক্তির পরও ভীষণ অনিচ্ছা নিয়েই রব নে বানা দি জোড়ি দেখছিলাম।
করণ আরও বলেছিলেন, পরবর্তী সময় যখন আমি ব্যান্ড বাজা বারাত দেখলাম, আমি আনুশকাকে ফোন করেছিলাম। আমার মনে হলো আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই এবং ওর প্রশংসাও পাওনা রয়েছে। ক্ষমা চেয়েছিলাম কারণ আমি খুব বিব্রত বোধ করেছিলাম এটা ভাবে যে আমি সত্যিই এক ব্যতিক্রমী প্রতিভার ক্যারিয়ার গ্রাফ নষ্ট করে ফেলতে যাচ্ছিলাম।
দ্বিতীয়ত, আনুশকার অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। শোনা যায়, করণ নাকি চেয়েছিলেন আনুশকা শর্মার বদলে সোনম কাপুরকে ‘রব নে বনা দি জোড়ি’-তে নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে করণের সেই স্বীকারোক্তি সম্প্রতি Reddit এ শেয়ার করা হয়েছে; যেখানে করণের মন্তব্য শুনে বেজায় বিরক্ত হয়েছেন বহু নেট নাগরিক।