বাবা সাইফ আলি খান আর মা অমৃতা সিং। ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর ও ঠাকুরদা পতৌদির শেষ নবাব মনসুর আলি খান। নবাবি পরিবারের সন্তান হলেও কখনও নিজেকে নবাবপুত্রী ভাবেননি সারা আলি খান। এমনটাই জানালেন এবার ‘কেদারনাথ’ খ্যাত নায়িকা।
ব্রিটিশ শাসনের সময় সারা আলি খানের ঠাকুরদার বাবা ছিলেন সেই সময়ের স্বাধীন রাজ্য পতৌদির শাসক। শরীরে রাজরক্ত বইলেও সারা নিজেকে একজন ‘মুম্বাই গার্ল’ই ভাবতে ভালোবাসেন।
আর দুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে সারার অভিনীত ‘গ্যাসলাইট’ ছবিটি। সেখানেই তিনি এক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন যে হুইল চেয়ারে করে বাড়ি ফেরে। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর তাকে স্বাগত জানাতে বাবা উপস্থিত ছিল না।
এমনকী তার সৎমা ও তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। ঘটনাচক্রে পবন কৃপালনি পরিচালিত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারটির এ দৃশ্যের শুটিং হয় এক রাজবাড়িতে। সেই প্রসঙ্গেই সারা এই কথা জানান।
এদিন দ্য হিন্দু সংবাদপত্রকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, ‘লোকে যখন এটা (নবাবপুত্রী) ভাবে তখন আমার খুব হাসি পায়। আমি কখনও নবাবিপনায় বড় হইনি।’
তার কথায়, তিনি ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে বেশিরভাগ জীবনটাই জুহুতে কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে বাবার সঙ্গে দেখা করতে বান্দ্রায় যেতেন।
এছাড়া ছুটি কাটাতে হলে নায়িকা জম্মু কাশ্মীর, কেদারনাথ আর হিমাচল প্রদেশ যেতে পছন্দ করতেন। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘নবাবি কায়দায় দিন কাটানো মানে কী, তাই আমি জানি না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে সইফ আলি খান আর অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই দুজনের আলাদা থাকা। মেয়ে সারা আলি খান ও সারার ভাই ইব্রাহিম আলি খান, দুজনেই বড় হয়েছেন মা অমৃতা সিংয়ের কাছে। ইব্রাহিম আলি খানকেও এই বছরের শেষে দেখা যেতে পারে বলিউডের কোনও ছবিতে। অন্তত তেমনটাই গুঞ্জন চলছে।