আরাভ খান, আশরাফুল ইসলাম ও আমিন খান। ছবি: সংগৃহীত
দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান কয়েকদিন ধরে মিডিয়ায় আলোচনায়। তার দোকান উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে লাইন ধরেছেন দেশের সেলিব্রেটিরা। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন তো ওই ধনী ব্যবসায়ীর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বশরীরে হাজির হয়েছেন দুবাই।
এ ঘটনায় ঢালিউড নায়ক আমিন খানের নামও জড়িয়েছে। নামের শেষে মিল থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছেন, ওই আরাভ খান বাংলাদেশের চিত্রনায়ক আমিন খানের ভাই। যা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
একজন অপরাধীর সঙ্গে ভ্রাতৃসম্পর্কের গুঞ্জনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে আমিন খানের পরিবারকে।
এ বিষয়ে আমিন খান বলেন, দুবাইয়ের আরাভ খান আমার ভাই নন। কী যে এক ঝামেলায় পড়েছি! আরাভ খান নামে আমার কোনো ভাই নেই। যে আরাভ খান মনে করে অনেকেই আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন তিনি কি আমার ভাই? সেই আরাভ খানকে তো আমি চিনিই না। অনেকেই ভুল করে তাকে আমার ভাই মনে করছেন, জানতে চাইছেন—এই ঘটনায় বিব্রত বোধ করছি। আমার ভাইয়ের নাম আশরাফুল ইসলাম। সে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিল। সেখানে তার নাম আরাভ থাকতে পারে। এখান থেকে কেউ কেউ মনে করছেন দুবাই সোনা ব্যবসায়ী আমার ভাই। আসতে তা নয়। এ ঘটনায় সবার ভুলটা ভাঙানো দরকার।’
খোঁজ জানা গেছে, আমিন খানেরর ভাই আশরাফুল ইসলাম একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা। সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তার বিচরণ রয়েছে। কিছু নাটক ও টেলিছবি বানিয়েছেন। অভিনয়ও করেছেন একটি সিনেমায়।
আরাভ খানের ঘটনায় আশরাফুলও বিব্রত। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই জানতাম না। গতকাল ভাইয়ার (আমিন খান) কাছ থেকে শুনলাম। কিছু কিছু নিউজে লেখা হয়েছে, সেই আরাভ খান, চিত্রনায়ক আমিন খানের ভাই। এটা সত্য নয়। সেই ব্যক্তি তো এখন দুবাইয়ে আছেন। আমি দেশে বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এখনো কাজেই বের হয়েছি।’
আশরাফুল ইসলাম জানান, তার ডাকনাম আরাভ খান। বন্ধু ও পরিচিত মহলে তিনি আরাভ খান নামেও পরিচিত। তবে খুব কম মানুষই জানেন এই নাম। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথম একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সেই সিনেমার নাম ‘ভালোবাসলে দোষ কি তাতে’। সেই সিনেমায় পরিচালকের কথায় আরাভ খান নামটাই ব্যবহার করেন। তার পর থেকে আশরাফুল নামের চেয়ে আরাভ খান নামেই বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেন।
আমিন খানের ভাই বলেন, ‘বিষয়টা এখন মানসম্মানের হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই দুই আরাভ খানের সঙ্গে আমার ছবিও গুলিয়ে ফেলেছেন। কেউ কেউ মিলও পাচ্ছেন। সবাইকে বলব, বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা সে রকম কোনো পরিবারের মানুষ নই। আমাদের সমাজে একটা সম্মান রয়েছে। যে কেউ চাইলে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’