ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করে ফিরে এসেছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। ২০২২ সালের ব্যবসাসফল সিনেমা ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’-তেও অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি ক্যানসারের সঙ্গে যে দীর্ঘ লড়াই তিনি চালিয়েছিলেন তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
২০২০ সালে জানতে পারেন তিনি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত। ফুসফুস ক্যানসারের তৃতীয় ধাপে ছিলেন সঞ্জয়। শুরুতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যান। মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছেন এই অভিনেতা।
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পর কী প্রতিক্রিয়া ছিল সঞ্জয় দত্তের? এসব বিষয় নিয়ে কয়েক দিন আগে একটি হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলেন এই অভিনেতা।
সঞ্জয় জানান, প্রথমদিকে তার কেবলই পিঠে ব্যথা হচ্ছিল। কিন্তু যত দিন যেতে থাকে ততই যেন নিশ্বাসের কষ্ট হতে থাকে। তখন তিনি ডাক্তারের কাছে যান।
তিনি বলেন, হট ওয়াটার আর ব্যথার ওষুধ খেয়েই চলছিল। একদিন দেখি নিশ্বাস নিতেই পারছি না। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমদিকে ক্যানসারের খবর আমাকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি। আমি একাই ছিলাম, হঠাৎ ওরা এসে বলে ‘তোমার ক্যানসার হয়েছে’। আমার স্ত্রী, আমার পরিবার বা আমার বোন, কেউই তখন আমার আশেপাশে ছিল না।
সঞ্জয় জানান, ক্যানসার ধরা পড়ার পর বোন প্রিয়া তার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন। মান্যতা সেই সময় ছিলেন দুবাইতে।
ক্যানসারের খবরে তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঞ্জয় বলেন, এরকম ক্ষেত্রে পুরো জীবনটা ফ্ল্যাশব্যাকে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আর আমার পরিবারেই তো ক্যানসারের হিস্ট্রি রয়েছে। আমার মা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে মারা গিয়েছেন। আমার বউ (রিচা শর্মা) মারা গিয়েছে ব্রেন ক্যানসারে। আমি প্রথম যে কথাটা বলেছিলাম তা হলো, কেমোথেরাপি নেব না আমি।
তিনি বলেন, ‘যদি মরতেই হয় তাহলে এমনি মরব, কোনো চিকিৎসা নিয়ে কেন মরব।’
তবে এরপর চোখের সামনে পরিবার ও কাছের মানুষদের ভেঙে পড়তে দেখে ঠিক করেন ক্যানসারের চিকিৎসা করাবেন। তার কথায়, ‘এক রাতে আমি হঠাৎই ঠিক করলাম আমি যদি ভেঙে পড়ি আমার পরিবার আমার কাছের মানুষরাও ভেঙে পড়বে, অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমাকে লড়তে হবে।’
প্রসঙ্গত, ক্যানসার নিয়েই কেজিএফের শ্যুট করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। স্ত্রী মান্যতা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে একটি পোস্টও করেছিলেন।