
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ এএম
বৈশাখ উদযাপনে শোভাযাত্রা ও কনসার্ট

আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

আরও পড়ুন
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত গোটা বাঙ্গালি জাতি। এবারের চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ আয়োজনে রয়েছে ভিন্নতা। ১৩ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে কনসার্ট, ১৪ এপ্রিল হবে শোভাযাত্রা, এদিন বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো এবং ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে হবে বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া এ বছর প্রথমবার বৈশাখের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)। বিশ্বব্যাপী শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সকল মিউজিশিয়ান একসঙ্গে গাইবে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’। এতে অংশ নেবেন প্রায় ৫০০ মিউজিশিয়ান, যাদের অনেকেরই হাতে থাকবে গিটার ও প্যালেস্টাইনের পতাকা।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এবারের শোভাযাত্রার থিম নির্ধারণ করা হয়েছে কৃষক। এর মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের অবদানের স্বীকৃতি তুলে ধরা হবে।
ফারুকী বলেন, ‘এ বছর পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় প্রথমবার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীসহ প্রায় দুই শতাধিক ব্যান্ড মিউজিশিয়ানস অংশগ্রহণ করবেন। পৃথিবীর শান্তি কামনায়, বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্মিলিতভাবে একটি গান গাইবেন তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘৫৪ বছরের ইতিহাসে শিল্পকলা একাডেমিতে চৈত্রসংক্রান্তি ও নববর্ষের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এবার করা হয়েছে।’
১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্টের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এতে ঢাকার ব্যান্ডগুলোর সঙ্গে গাইবে একাধিক পাহাড়ি ব্যান্ড। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ব্যান্ড ‘মাইলস’, ‘ওয়ারফেজ’, ‘ভাইকিংস’, ‘এভয়েড রাফা’, ‘দলছুট’, ‘লালন’ ও ‘সুফি’। পাহাড়ি ব্যান্ডের মধ্যে থাকবে গারো ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’, মারমা ব্যান্ড ‘লালং’, ত্রিপুরা ব্যান্ড ‘ইমাং’, খাসিয়া ব্যান্ড ‘ইউনিটি’ ও চাকমা ব্যান্ড ‘ইনভোকেশন’।
এ প্রসঙ্গে ওয়ারফেজ ব্যান্ডের প্রধান মনিরুল আলম টিপু বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্ষবরণ ও চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠানগুলোতে সাধারণত ব্যান্ড মিউজিশিয়ানরা অংশ নেন না। এবারই প্রথম সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এবার শোভাযাত্রা আরও বড় পরিসরে এবং বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এর অন্যতম আকর্ষণ হবে তারুণ্যনির্ভর ব্যান্ড সংগীতের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।’