
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৯ এএম
দেখা মিলল ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ এর ট্রেলারের, কী বললেন ক্যামেরন?

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

আরও পড়ুন
জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় তৈরি হচ্ছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। এটি অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় ছবি। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত সিনেমাকন-এ প্রথম ট্রেলার দেখানো হয়। এই ট্রেলার এখনো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়নি।
আগের দুই কিস্তির মতো এবার দেরি হয়নি। ক্যামেরন আগেই সব সিক্যুয়েল একসাথে শ্যুট করে রেখেছেন। তাই সময়মতো মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
সিনেমাকন-এ দর্শকদের ৩ডি ট্রেলারে দেখানো হয় প্যান্ডোরার মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি। সেখানে দেখা যায় দুটি নতুন না’ভি উপজাতি—‘উইন্ড ট্রেডার’ ও ‘ফায়ার পিপল’। আকাশে ভেসে বেড়ায় উইন্ড ট্রেডাররা। তারা থাকে বেলুনের মতো উড়ন্ত যানবাহনে। অন্যদিকে, আগুনের তীর নিয়ে আক্রমণ চালায় ফায়ার পিপল। তারা উড়ে আসে ইক্রান নামের প্রাণীতে চড়ে। মাঝ আকাশে দুই দলের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় এক না’ভি যোদ্ধা।
জেমস ক্যামেরন নিজে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। তিনি এখন নিউজিল্যান্ডে ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন—‘(জ্যাক) সুলিরা এবার চরম পরীক্ষার মুখে। হিউম্যানদের পাশাপাশি তাদের লড়তে হবে অ্যাশ পিপলের মতো ভয়ংকর শত্রুর সঙ্গে, যারা আমাদের মধ্য থেকেই উঠে এসেছে। ইচ্ছে ছিল সেখানে থাকতে, কিন্তু এখন ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ শেষ করাটাই সবচেয়ে জরুরি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন এই ছবি হলে ফের দর্শক টানবে। কারণ মহামারির পর সিনেমা হলগুলো নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
২০০৯ সালের প্রথম অ্যাভাটার ও ২০২২ সালের ‘দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’—দু’টিই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। এবারও সে সাফল্য ধরে রাখতে চায় ক্যামেরনের দল।
যদি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ও সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তাহলে এটি হবে ইতিহাসের প্রথম সিরিজ যার তিনটি ছবি ২ বিলিয়নের ক্লাবে থাকবে।
এই মুহূর্তে একমাত্র জেমস ক্যামেরনই এমন কীর্তি গড়েছেন—‘টাইটানিক’, ‘অ্যাভাটার’, এবং ‘দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’ দিয়ে।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তি পাবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। এরপর ‘অ্যাভাটার ৪’ আসবে ২০২৯ সালের ২১ ডিসেম্বর। আর পঞ্চম ছবি আসবে ২০৩১ সালের ১৯ ডিসেম্বর।
ডিজনিও এই অনুষ্ঠানে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ঝলক দেখিয়েছে। এর মধ্যে আছে মার্ভেলের ‘থান্ডারবল্টস’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’, ‘জুটোপিয়া ২’, ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’, ‘ট্রন: এরিস’ ও ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর লাইভ অ্যাকশন রিমেক। ডিজনির এক কর্তা বলেন—‘আমাদের ছবি দীর্ঘদিন হলে চলে, এটি কাকতালীয় নয়। আমরা হল-ভিত্তিক অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিই।’