শাকিব খান ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করে রেখেছেন
আনন্দনগর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৩:১১ এএম
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের গ্ল্যামারার্স নায়িকা অধরা খান। কাজ করছেন বাংলাদেশ ও ভারত-দুই দেশেই।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি। কেন? এ তথ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন এ নায়িকা।
* শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে মাঠ গরম হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। বিতর্কও চলছে। একজন শিল্পী হিসাবে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
** সম্মানিত শিল্পীরা, যারাই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সবার জন্যই মন থেকে শুভকামনা। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে খুব বেশি কিছু একটা যে হয়ে যায়, এমন কিছু নয়। এটি আসলে শিল্পীদের মিলনমেলার একটা মহাউৎসব। এ উৎসব ঘিরে অনেকের মধ্যে হয়তো অনেক প্রতিযোগিতা থাকে।
গত কয়েক নির্বাচনে একটু অন্য রকম প্রতিযোগিতা হয়েছে, যেটা বাহ্যিকভাবে একটু দৃষ্টিকটু হয়েছে, খুব বেশি সমালোচনা ছিল। যেহেতু আমি একজন ভোটার, যদি নির্বাচনের দিন দেশে থাকি তাহলে অবশ্যই যাব। আশা রাখি যারা এবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসবেন, যে কারণে আমরা ভোট দেই, সেই চাওয়াগুলো অবশ্যই তারা পূরণ করবেন।
* অনেকে প্রকাশ্যে পছন্দের প্যানেলকে সাপোর্ট দিচ্ছেন। আপনি কার পক্ষে?
** আসলে সেভাবে তো বলার কিছু নেই কাকে সাপোর্ট দিচ্ছি, কাকে দিচ্ছি না। কারণ যারাই নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদের অনেকেই সম্মানের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ। তাদের অনেক ছোটবেলা থেকে ভালোবাসি সম্মান করি, পছন্দ করি। তাই আসলে কারও নাম নিয়ে কাউকে দুঃখ দিতে চাই না। একটা সুস্থ সুন্দর নির্বাচন চাই, এতটুকুই। আর এটাও চাই না, আমার প্রশ্নের উত্তরে দর্শকও কোনো ধরনের বাগ্বিতণ্ডার গন্ধ পাক। কারণ সবাই এখন যেভাবে সমালোচনাকে পুঁজি করে ভাইরাল হচ্ছে, এসব থেকে দূরে থাকতে চাই।
* আপনিও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা বলেছিলেন। শোনা যাচ্ছে চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরীও প্রার্থী হবেন। এ কারণে আপনি নাকি সরে গিয়েছেন। সত্যি নাকি?
** হ্যাঁ, একটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তবে আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। কারণ, সময় অনেক কম। নির্বাচন করলে নিজের একটা প্রস্তুতি থাকতে হবে এবং এর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হবে।
এখানে যে পরিমাণ সময় দিতে হবে এতটা সময় আমার নেই। তবে আপনি যে কারণটি বলেছেন, সেটি একদমই সত্য নয়। আমি নিজেও জানি না বা জানতাম না যে, তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বা হবেন। আর নির্বাচন যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। যার যার গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী হয়। তাই এখানে অমুক নির্বাচন করলে আমি করব না, বিষয়টা এমন নয়।
* ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা কতটা কঠিন বলে মনে করেন?
** কোনো কিছু জানা না থাকলে, বা যে পথে যাচ্ছি সে পথ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, যে কোনো নতুন পথই আসলে অনেক কঠিন হয়। সবাই জানি এখন সময়টাই অনেক কঠিন। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমাও আমরা নিয়ে এসেছি।
বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য এ কঠিন পথটা আরও অনেক বেশি কঠিন হয়ে গেছে। তাই কঠিনের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে পথ চলতে হচ্ছে, পথ চলছি। সেই পথ কখনো মসৃণ, কখনোবা কাঁটা বিছানো। হয়তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, এই কঠিন পথের সঙ্গে চলাটাও সহজ হয়ে যাবে বলে, এটাই বিশ্বাস করি।
* সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের নায়িকা হতে চান অনেকেই। আপনারও কী সে রকম কোনো ইচ্ছা আছে?
** এটা অনেক কঠিন প্রশ্ন হয়ে গেল আমার জন্য। এ প্রশ্নটার উত্তর তোলা থাক। সময় হলে দেব। আমাদের সুপারস্টারের জন্য সব সময় শুভকামনা।
* গত কয়েক বছর ধরে ঈদেই শুধু শাকিবকে দেখা যায়। আপনার কী মনে হয় ঈদ ছাড়া সিনেমা চলবে না, এ ভয়ে থাকেন তিনি?
** প্রথম কথা হচ্ছে, শাকিব খান যদি এত ভয় পেতেন তাহলে আর সিনেমাই করতেন না। জীবনে যা কিছু অর্জন করেছেন, আর সিনেমা না করলেও তার চলত। আর ইন্ডাস্ট্রির এত খারাপ সময়ে সবচেয়ে বিগ বাজেটের সিনেমাগুলো শাকিব খানকে নিয়েই হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক তাকেই দেওয়া হচ্ছে। তিনিও ব্যক্তি জীবন এবং ক্যারিয়ারের ঝড়ঝঞ্ঝা বাদ দিয়ে শুধু সিনেমার দিকেই মনোযোগী হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করে রেখেছেন।
তার অপজিটে নতুন অনেকেই কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। আবার অনেকের তো শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমা রিলিজ না হলেও তার নাম বিক্রি করেও তারকা তকমা নিজের করে নিচ্ছে। ‘ভয়’ শব্দটা কি আসলেই শাকিব খানের সঙ্গে যায়?
আসলেই কি ঈদ ছাড়া শাকিব খানের কোনো সিনেমা রিলিজ হয়নি? আমি তো জানি শাকিব খানের অনেক সিনেমা আসলে ঈদ ছাড়াই রিলিজের জন্য তৈরি হয়েছিল। সিনেমাগুলোর প্রযোজক তো শাকিব খান নয়, এ সিনেমার যারা প্রযোজক আমার মনে হয় এ প্রশ্নের উত্তর তারা খুব ভালো দিতে পারবেন। কেন তারা শাকিব খানের মতো সুপারস্টারের সিনেমা শুধুই ঈদে রিলিজ করেন।
* বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
** আগামী মে মাস থেকে আমার নতুন কিছু কাজ শুরু হচ্ছে। সেগুলোর রিহার্সাল, ডিরেক্টরদের সঙ্গে রেগুলার যতটুকু সম্ভব ব্রিফিং নেওয়া যায়, নিচ্ছি। সেই কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করছি। গত বছর যেগুলো শেষ হয়েছে তার মধ্যে একদম কমপ্লিট কাজ রেডি হয়ে আছে ওহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’। সেটি রিলিজ হয়তো এ বছরই হবে।