Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

গুতেরেস মিশনের উপ্ত ও গুপ্ত বার্তা

মারুফ কামাল খান

মারুফ কামাল খান

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

গুতেরেস মিশনের উপ্ত ও গুপ্ত বার্তা

তিনি আসলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। দেশপ্রেমিক ও আশাবাদী নাগরিকরা বাংলাদেশে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের চার দিনের সফরকে এমন করেই মূল্যায়ন করছেন। কৃটিক ও হতাশাবাদীদের কথা আলাদা। ভিজিট সেরে ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন তিনি। এটা ছিল বাংলাদেশে তার দ্বিতীয় সফর। সাত বছর আগে ২০১৮ সালে তিনি একবার এসেছিলেন। তবে তার সে সফর ছিল সংক্ষিপ্ত এবং এতোটা আলোড়নও সৃষ্টি করেনি।

এ পর্যন্ত পাঁচজন জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। প্রথম এসেছিলেন ড. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম, ১৯৭৩ সালে। তখনো  বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি৷ আটকেপড়া পাকিস্তানি বা বিহারিদের প্রত্যাবাসন এবং নিরাপদ আশ্রয় ছিল সে সফরের মূল ইস্যু। পাকিস্তান হওয়ার পর ভারত থেকে এসে পূর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া উর্দুভাষী বিহারির মুসলমান মোহাজিরদের জানমাল-সম্ভ্রম-নিরাপত্তা পুরোপুরি বিপন্ন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে। পাকিস্তানি বাহিনীর কোলাবরেটর হিসেবে তাদের অনেককে হত্যা করা হয়। অনেকে গুরুতর নির্যাতিত ও জখম হয়। নারীরা সম্ভ্রম হারায়। তাদের বাড়িঘর, ব্যবসাবাণিজ্য, সহায়সম্পদ সব বেদখল হয়ে যায়। রেডক্রসও তাদের তেমন সহায়তা দিতে পারেনি। সব হারিয়ে বিহারিরা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার অপশন দিয়ে জাতিসংঘের জেনেভা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পাকিস্তান তাদের ফেরত নিতে টালবাহানা শুরু করে৷ এই সংকট ছিল জাতিসংঘের সদস্য হবার আগেই ১৯৭৩ সালে মহাসচিবের সফরের প্রধান কারণ। এর বাইরে হেভিয়ার পেরেজ দ্য কুইয়্যার ১৯৮৯ সালে, কফি আনান ২০০১ সালে, বান কি মুন ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

আমার বিবেচনায় জাতিসংঘ মহাসচিবদের মধ্যে বুট্রোস ঘালি ছিলেন বাংলাদেশের সবচে' বড় বন্ধু। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশি ট্রুপ্স নিয়োগের ক্ষেত্রে তার উদ্যোগ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। মিশিরীয় এই কপ্টিক খ্রিস্টান রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন জাতিসংঘের প্রথম আফ্রিকান মহাসচিব। ভারতের সাথে পানি বন্টন ও অন্যান্য সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশের পক্ষে বলিষ্ঠ উদ্যোগ ছিল তাঁর। বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফরের পর পর্তুগালের সাবেক সমাজতান্ত্রিক নেতা ও প্রধানমন্ত্রী গুতেরেসকে আমার কাছে ঘালির পর বাংলাদেশের বড় বন্ধু বলে মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে এখন জটিল সংকট চলছে। এ ক্রুশিয়াল সময়ে চার দিনের এক ঘটনাবহুল সফরে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশে আসাকে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয় আমার কাছে। তিনি এসে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ভূমিতে দাঁড়িয়ে ক্রমবর্ধমান 'ইসলাম ফোবিয়া' নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকারকে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে ঘৃণাত্মক বক্তব্য প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আন্তির্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের অবস্থান থেকে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে এই ভূমিকা যে কত বড় বন্ধুর কাজ তা বলাই বাহুল্য।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতও করেননি। তিনি ঢাকায় জাতিসংঘ অফিস উদ্বোধন করেছেন এ সফরে। কক্সবাজারে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার, এ উপলক্ষে তাঁর রোজা রাখার কথা ঘোষণা এবং ইফতার মাহফিলে পাঞ্জাবি পরে হাজির হওয়া সংহতি প্রকাশের বিরল নজির স্থাপন করেছে। ঢাকায় তিনি রাজনীতিবিদ ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে বসেন, এর আয়োজক ছিল জাতিসংঘ। সৌজন্য সাক্ষাতের বদলে রাউন্ডটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক পক্ষসমূহের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজনীয়তাই তুলে ধরেছেন বলে আমার ধারণা। তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেও তিনি তারুণ্যের গুরুত্বের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা, মানবাধিকার, শান্তিরক্ষা মিশন, সংস্কার ও গণতন্ত্র। এই সফরকে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন প্রধান ভলকার তুর্ক-এর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর এবং তার বিভিন্ন ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।

বিশ্বে পরাশক্তিগুলোর নয়া সমীকরণের আলোকে জাতিসংঘের কর্তৃত্ব ও গুরুত্ব অধুনা কিছুটা কমেছে। তাই এই বিশ্বসংস্থাকে কেউ কেউ 'ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার' বলে তাচ্ছিল্য করেন। আমি মনে করি, আমাদের সে অবকাশ নেই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেবল শান্তিরক্ষা মিশনে ফোর্স যোগানদার দেশ হিসেবেই নয়, যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সাহায্য ও অনুদান কমিয়ে দেওয়ায় ইউএন এজেন্সিগুলোর কার্যক্রমের গুরুত্ব আমাদের জন্য অনেক বেড়েছে। তা'ছাড়া ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সিস্টেমগুলো আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কোনো ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হলে জাতিসংঘের দ্বারস্থ আমাদের হতেই হয়।

মহাসচিবের সদ্যসমাপ্ত সফরকালে অনেকে কেবল রোহিঙ্গা রিফিউজিদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের ভূমিকার ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন; যেহেতু এই সংকট আমাদের জন্য দুর্বহ এবং ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, এ সমস্যা হুট করেই সমাধান করা যাবে না। হাসিনার ভুল ও অযোগ্যতা এ সংকট জটিল করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্মী জান্তার বিরুদ্ধে ইউরোপ-আমেরিকা, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক আদালত ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো যখন শক্ত ভূমিকা নিচ্ছিল, তখন হাসিনা তাতে পানি ঢেলে দিয়েছিলেন দ্বিপক্ষীয় সমাধানের নামে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হাসিনা রেজিম বর্মী জান্তার সঙ্গে দু'টি সর্বনাশা চুক্তি করে সংকট নিরসনের সব কর্তৃত্ব মায়ানমার সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়।

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সরকার দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগে তখনকার রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসন করেছিলেন। হাসিনা সেই অতীতেই বাস করছিলেন।তিনি বুঝতেই পারেননি যে, তখনকার পরিস্থিতি ও বাস্তবতা আলাদা ছিল। বাংলাদেশ ও বার্মার সঙ্গে তখন চীনের সমান্তরাল সুসম্পর্ক ছিল। ভারতের সঙ্গে বর্মী জান্তা তখন জটিল স্বার্থের বন্ধনে আবদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতাও হাসিনার রেজিমের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। বর্মার সামরিক সামর্থ্য ছিল অনেক কম।

পক্ষান্তরে হাসিনা রেজিম যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়েছিল। বার্মার প্রতি চীনের সমর্থন অকুণ্ঠ হয়েছিল। ভারতও আলাদাভাবে বর্মী জান্তার সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সাম্প্রতিককালে চীনের নিউক্লিয়ার আর্সেনালের একটি অংশ বার্মায় স্থাপিত হয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। পরিস্থিতির এসব পরিবর্তন বিবেচনায় নেওয়ার মতো প্রজ্ঞা হাসিনার ছিল না। রাষ্ট্র বুঝতেন না হাসিনা। বাংলাদেশটাকেই পারিবারিক জমিদারি ভাবতেন। তাই তিনি প্রকাশ্যেই  বলেছিলেন, 'আমার বোন রেহানা বলেছিল—তুমি ১৬ কোটি লোককে রোজ খাওয়াও। আর কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না?' এই পারিবারিক আলাপচারিতা ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তি। হাসিনা ভাবতেন, দেশের সব নাগরিকের রেজেক তার হাতে এবং তিনিই তাদেরকে খাওয়ান! তা ছাড়া এই আশ্রয়দানের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার লাভের আশায় তিনি প্রলুব্ধ হয়ে লবিয়িস্টও নিয়োগ করেছিলেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু বিশ্বের সব চেয়ে জটিল শরণার্থী সমস্যা। কারণ বিতাড়নকারী রাষ্ট্র বার্মা রোহিঙ্গাদের সেই দেশের নাগরিক বলেই স্বীকার করে না। তাই কেবল শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের মধ্যেই এই সমস্যার  সমাধান নিহিত নেই। রিফিউজিদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে বর্মায় রিফিউজি ক্যাম্পে তুললে সমস্যার সমাধান হবে না। এখন বার্মার বিদ্রোহী 'আরাকান আর্মি' প্রায় পুরো আরাকান অঞ্চলের  নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তাদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে।

আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফরে যাবার কথা। সেখানে গণচীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে তার। এই সফরসূচিকে বিচ্ছিন্ন কিছু বলে মনে হয়না। ১৯৭০-৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল পাকিস্তানের দূতিয়ালিতে। এবার ড. ইউনূস তেমন কোনো দায়িত্ব পালন করবেন কিনা তা' এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবকে উপস্থিত রেখে আগামী ঈদে রোহিঙ্গারা স্বদেশে ঈদ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ মুহূর্তে এটি অতি আশাবাদ ও আবেগপ্রবণ ঘোষণা বলেই মনে হয়। কিন্তু ইস্যুটিকে ঠিকমতো আন্তর্জাতিকীকরণ, চীনকে নিউট্রাল করা এবং বার্মার ওপর আরও চাপ প্রয়োগ সম্ভব হলে এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতেও পারে। আরাকান একদিন আমাদের ছিল। বাংলাদেশের অংশ হওয়ার কথা ছিল এই অঞ্চলের। আগামীতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আরাকানের অভ্যুদয় ঘটবে কিনা তাও এখনই বলতে পারছি না। 

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আশু বড় সংকট হচ্ছে ফান্ড ক্রাইসিস। সেই সংকট নিরসনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মাসিক সাড়ে ১২ ডলারের রেশন বরাদ্দ এপ্রিল থেকে কমে ৬ ডলার হয়ে যাওয়ার কথা। মহাসচিব যদি দাতার সন্ধান করে তববিল বরাদ্দ বাড়াতে পারেন তবেই রক্ষা। শান্তিরক্ষা মিশন ও মানবাধিকার ইস্যুতে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশ বিপদমুক্ত হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত সফরে অ্যান্তোনিও গুতেরেস সে আভাস দিয়ে গেছেন। ইউনূস সরকারের এ এক বিরাট সাফল্য।

জাতিসংঘ সিস্টেমের নানান স্তরে হাসিনার নিকট স্বজনদের এখনো লাভজনক অবস্থানের ব্যাপারেও মহাসচিবের কাছে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমরা তাঁর কাছ থেকে এই খুনি, অপরাধী ও দুর্নীতিবাজ পরিবারের প্রতি আনুকূল্যের অবসান ও ফেয়ার জাস্টিস আশা করি।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মানের ওপর। তিনি জানেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের রাষ্ট নয়। সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে ফ্যাসিবাদের সব কাঠামো, প্রথা-প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এ-যেন এখন গোপালগঞ্জের পরিত্যক্ত জমিদারি। অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক বেসিসে ঠিকা ঝিয়ের মতো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিধ্বস্ত রাষ্ট্রের মেরামত ও সংস্কার ছাড়া যেনতেনভাবে এখন একটি জাতীয় নির্বাচনের অর্থ মহাশ্মশানে জলপাই শাখা দোলানোর শামিল। মরদেহে প্রসাধন চর্চার বদলে তিনি সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন এবং এ এতে পূর্ণ সমর্থনের কথা বলে গেছেন। তার এ মিশনের উপ্ত ও গুপ্ত বার্তা 'বিটুইন দ্য লাইন' আমরা কতটা অনুধাবন করতে পারলাম এবং কতটা তামিল করতে পারব তার ওপর ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করে।  

লেখক পরিচিতি : মারুফ কামাল খান : সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক। 

ই-মেইল : mrfshl@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম