Logo
Logo
×

অর্থনীতি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

শেষ মুহূর্তে খাবার দোকানে ভিড়, দাম ও মান নিয়ে অভিযোগ

মোটরসাইকেলসহ গৃহস্থালি পণ্যে বিশেষ ছাড়

Icon

রাসেল মাহমুদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫ এএম

শেষ মুহূর্তে খাবার দোকানে ভিড়, দাম ও মান নিয়ে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯ তম আসরে শেষ মুহূর্তে খাবার দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটার পাশাপাশি খাবারের দোকানে ভিড় করছেন মেলায় খাবারের স্টলগুলোতে ভোজনরসিকদের এতটাই ভিড় যে খেতে বসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে আগতদের। তবে কোনো কোনো স্টলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সরবরাহের পাশাপাশি দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা। এর পাশাপাশি খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কেউ কেউ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিভিন্ন অনিয়ম রোধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখায় গত কয়েক দিনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কয়েকটি খাবারের দোকানকে জরিমানা করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দোকানে অনেক ভিড়। সন্ধ্যার পর আরো বেশি ভিড়। রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ।

এবারের মেলায় পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশ কিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি। এছাড়া চিকেন বিরিয়ানি, মাটন কাচ্চি, বিফ কাচ্চি, ফ্রাইড চিকেন, চিকেন শাসলিক, চিকেন চাপ, চিকেন গ্রিল, বডি কাবাব, ফালুদা, জুস, কফি, ভাত, মাছ, ডাল, সবজি, মাংস, লাচ্ছি, নুডল্স, পানীয়, মাটন হালিম, ফুসকা, চটপটি, পরটা, কাবাব ও খিচুড়ি থেকে শুরু করে থাই স্যুপের বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে লুচি আর চিকেন চাপের চাহিদা বেশি। অনেকেই মাটির পাত্রে স্পেশাল চা ও তান্দুরি চা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় জমান। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত খাবার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে।

হাজী বিরিয়ারিন খাবার সরবরাহকারী আলাউদ্দিন বলেন, মেলায় ঘোরাঘুরি আর ছবি তোলার সঙ্গে খাওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সে কারণে খাবারের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। অন্যান্য খাবারের চাহিদা থাকলেও পরিবেশসম্মত দেশীয় খাবারের চাহিদাই বেশি।

পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানির ব্যবস্থাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, দুপুর ও রাতের খাবার হিসেবেও মেলার দর্শনার্থীরা তার দোকানে ভিড় করছেন।

সেভয় আইসক্রিমের বিক্রয় প্রতিনিধি রোমানা বলেন, আইসক্রিম ও ফাস্টফুড-জাতীয় খাবার শিশুদের আকৃষ্ট করছে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।

পুরাতন ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই দোকানের খাবার সরবরাহকারী লিখন রাজ বলেন, দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় চিকেন চাপ, লুচি, রুটির চাহিদা এখানে বেশি।

কস্তুরি কাবাব রেস্টুরেন্টের বিক্রয় প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোক্তার চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। নির্ধারিত খাদ্যতালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন তাদের খাবার রসনাবিলাসীদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।

রাজধানীর মিরপুর থেকে সপরিবারে মেলায় ঘুরতে আসা গৃহবধূ কনা আক্তার বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের দাম বেশি। খাবারের মান ও পরিমাণ অনুযায়ী দাম আরেকটু কম হওয়া উচিত।

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে মেলায় আসা গৃহবধূ শান্তা আক্তার বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো স্টলে মূল্যতালিকা নেই। আবার কেউ কেউ তালিকায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও খাবারের দাম বেশি রাখছেন। কেউ কেউ খাবার খেয়ে বিল দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। কেউবা খাবারের পর বিলের রসিদ দিচ্ছেন না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, খাবারের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা প্রদর্শন করা না হলে কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা বিক্রয় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যমুনার পণ্যে বিশেষ ছাড়

যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের হেড অব সেলস মো. মেজবাহ উদ্দিন আতিক বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মেলায় আমরা উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। 

এর মধ্যে উল্লে­খযোগ্য হলো–রাইস কুকার, রেফ্রিজারেশন, মাইক্রোওভেন, ইলেক্ট্রনিক ওভেন, গ্যাস বার্নার, কারিকুকার, ইনফারেন্স কুকার, রুমহিটার ও জুসার, টিভি ও মোটরসাইকেল। গৃহস্থালি পণ্য আমরা বিশেষ ছাড়ে বিক্রি করছি। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশন, ওয়াশিং মেশিনে প্রোডাক্টভেদে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অফার করেছি। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ২৫%। কিছু ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট আমরা এখানে নিয়ে এসেছি। টিভির ক্ষেত্রে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপ গোয়িং একটা ১০০ ইঞ্চি টিভি, বাংলাদেশে এই প্রথম সবচেয়ে বড় টিভি নিয়ে এসেছি।

তাছাড়া ৫৫ ইঞ্চি, ৪৩ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি টিভি পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। এয়ারকন্ডিশনের ক্ষেত্রে ১ টন, ১.৫ টন, ২ টন নতুন বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন টেকনোলজির ইমপ্রোস করা কিছু এয়ারকন্ডিশন আমরা নিয়ে এসেছি, সেখানেও ক্ষেত্রবিশেষ ১০% থেকে ১২% ডিসকাউন্ট আছে। তাছাড়া ফ্রিজের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫%। টিভির ক্ষেত্রে ২০% ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বাণিজ্যমেলায় যমুনার পণ্য ‘কিনলেন তো জিতলেন’! যমুনা রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট এলইডি টিভিসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং মোটরসাইকেল কিনলে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ ছাড় রয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার টাকার পণ্য কিনলে একটি ইলেকট্রিক কেটলি বা ইলেকট্রিক আয়রন ফ্রি পাচ্ছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম