বিবিএস অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
বেক্সিমকোর মতো বড় বড় কোম্পানির শুধু ঋণ আর ঋণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
বেক্সিমকোর মতো বড় বড় কোম্পানির শুধু ঋণ আর ঋণ, আর কিছুই নেই- এমন মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, জরিপে দেখা গেল গ্রামে উদ্যোক্তা সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই বলেছেন তাদের মূলধন নেই। তারা ঋণ পাচ্ছেন না, সামান্য মূলধন জোগান দিতে পারছে না। অথচ শহরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে চলে যাচ্ছে। কোনো কোনো ব্যাংকে কিছুই নেই। আছে খালি প্রতিষ্ঠান। অনেক সময় হিসাবও করা যাচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা রাতারাতি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, হঠাৎ বড় হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের আছে শুধু লোন আর লোন। আমি বেক্সিমকোর কথা বলছি। সরকার শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো কিছুই নেই। কিন্তু নিদারুণ কষ্টের কথা হলো গ্রামের এত প্রতিষ্ঠান সামান্য মূলধনের জোগান পাচ্ছে না।আর শহরে রাতারাতি গড়ে উঠছে প্রতিষ্ঠান।
অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বুধবার রাজধানী আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কেএস মুর্শিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বক্তব্য দেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক এসএম শাকিল আখতার।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আগে পরিসংখ্যান তৈরিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল। কিন্তু এখন সে পথ বন্ধ করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান আইন সংশোধনের মাধ্যমে এটি করা হবে। এর আগেই আমি প্র্যাকটিস শুরু করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আমার স্বাক্ষর লাগে। আমি চোখ বন্ধ করেই সই করে দিই। পরের দিন পত্র-পত্রিকায় দেখি কী তথ্য দিয়েছে বিবিএস। এ ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে অন্তত ভুয়া তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো লুকোচুরি সম্ভব নয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এমপিও শিক্ষকদের জমানো ৬ হাজার কোটি টাকা যোগসাজশ করে এমন ব্যাংকে রাখা হয়েছে যে ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই টাকাতো কম নয়। এই অর্থ হলে আমরা শিক্ষকদের পেনশনসহ সব দায়দেনা মেটাতে পারতাম। এখন শিক্ষকদের সঞ্চয়ের টাকাই নাই। তবে সবচেয়ে ভালো কথা হলো রেমিট্যান্স বাড়ছে। এই রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি আশা জাগাচ্ছে। রেমিট্যান্সের অর্থ গ্রামে যাচ্ছে।ফলে সেখানে সেবা খাত চাঙ্গা হচ্ছে।