Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুই চুক্তি সই

সবুজ অর্থায়ন ও নগর উন্নয়নে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

সবুজ অর্থায়ন ও নগর উন্নয়নে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সবুজ অর্থায়ন ও নগর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ৯০ কোটি ডলার বা ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে। সবুজ অর্থায়নে ৫০ কোটি ডলার বা প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা এবং নগর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার বা প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় ঋণ দেবে সংস্থাটি। এছাড়া এ অর্থ ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে ঋণচুক্তি দুটি স্বাক্ষরিত হয়।

সবুজ অর্থায়নে ৫০ কোটি ডলারের চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক সই করেন। এর আগে ৪০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়। একই স্থানে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজ এবং আইডিএ’র পক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক স্বাক্ষর করেন। এ দুই চুক্তির আওতায় নগর অবকাঠামো এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিসহ পরিবেশ স্থায়িত্ব, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অর্জনে ৯০ কোটি ডলার ব্যয় হবে। 

আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। গ্রামাঞ্চলে বা শহরে বসবাসরত মানুষকে প্রভাবিত করছে। এ দুটি অর্থায়ন বাংলাদেশ সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং নগর অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি করবে। বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে তার উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসাবে কাজ করছে। 

বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অর্থায়ন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সবুজ এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে ভূমিকা রাখবে। বায়ুদূষণ কমাতে, পরিবেশগত প্রয়োগের উন্নতি, কার্বন বাজারে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ, টেকসই পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবাগুলো উন্নত করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই পরিবেশকে এগিয়ে নিতে নীতিগুলোকে সমর্থন করবে।   

স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নগর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর পরিষেবার পরিধি বৃদ্ধি করা। এছাড়া নগরগুলোর সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা। এছাড়া পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধা নিশ্চিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের মধ্যে ৩০ কোটি ডলার সমপরিমাণ এসডিআর ২২ কোটি ৭৭ লাখ ডলার স্পেশাল প্রডিং রাইটস হিসাবে দেবে। এটি সর্টার ম্যাচুরিটি লোন (এসএমএল)। এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (রেয়াত কাল) ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং অনুত্তোলিত অথের্র ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। অবশিষ্ট ১০ কোটি ডলার স্কেলআপ উইন্ডো থেকে গ্রহণ করা হবে। যার সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক কমিটমেন্ট ফি শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এ ঋণ চার বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম