বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতের সম্পদের মান দুর্বল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ এএম
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সম্পদের গুণগত মান দুর্বল। সম্পদের দুর্বলতার নেতিবাচক প্রভাব ভবিষ্যতেও ব্যাংকগুলোর ওপর পড়বে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল হবে। বৃদ্ধি পাবে ঋণের সুদের হার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খেলাপি ঋণের হার বেশি। এ অঞ্চলের পাঁচটি দেশের ৮০ শতাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার রাতে বৈশ্বিকভাবে ব্যাংক খাতের চিত্র নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে উদাহরণ হিসাবে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অবস্থাও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আর্থিক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা ও সবুজ অর্থায়ন বাড়ানোর পদক্ষেপ উলেখযোগ্য। এ খাতের মোট বিনিয়োগের কমপক্ষে ৫ শতাংশ সবুজ অর্থায়নে করতে হবে। সার্বিকভাবে বিনিয়োগের ২০ শতাংশ সবুজ অর্থায়ন হতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খেলাপি ঋণের হার প্রায় ১৫ শতাংশ। খেলাপি ঋণের কারণে এ অঞ্চলের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের গুণগত মান কমেছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পারছে না। ফলে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার দুর্বল হচ্ছে। একই কারণে বেড়ে যাচ্ছে ঋণের সুদের হার।
সূত্র জানায়, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থিক খাত ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। ওই সময়ে আর্থিক খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে। এ কারণে ব্যাংক থেকে গ্রাহকের আমানত বেরিয়ে যাওয়ায় তা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এতে সম্পদের মান ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দেশে আর্থিক খাতের মধ্যে ৮০ শতাংশই উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মধ্যম মানের ঝুঁকিতে রয়েছে। নিæ ঝুঁকিতে এ অঞ্চলের আর্থিক খাত নেই। এ অঞ্চলে ঝুঁকি বাড়ার জন্য বিশ্বব্যাংক প্রধানত খেলাপি ঋণকেই দায়ী করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে. দক্ষিণ এশিয়ায়ই আর্থিক খাতে উচ্চ ঝুঁকি বেশি। অন্যান্য অঞ্চলে উচ্চ ঝুঁকির মাত্রা কম।