প্রস্তাবিত বাজেট
বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর অবকাশসহ সুবিধা বহালের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর অবকাশ সুবিধাসহ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। যা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, কমবে কর্মসংস্থান। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত (২০২৪-২৫) বাজেটে এর আগের প্রণোদনা বাতিল করা হয়েছে। নানা ধরনের সিদ্ধান্তে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের তিনটি ইকোনমিক জোনে দেশি ও বিদেশি ৩৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ হুমকির মধ্যে পড়েছে। পাশাপাশি সেখানে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ইকোনমিক জোনের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতর ও বাইরে একই প্রতিষ্ঠান একাধিক শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে পৃথক ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করা হয়। এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
এছাড়া ইকোনমিক জোনে একজন ডেভেলপারকে ১২ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মূলধনী যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ উপকরণে আমদানি শুল্ক অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এক শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের জন্য আমদানি পণ্যে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করের অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে শর্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২০০০ সিসির ২টি গাড়ি শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু কাস্টমস ডিউটি মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশি কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মীর প্রথম ৩ বছরের প্রদেয় কর ৫০ শতাংশ অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে লভ্যাংশ, মূলধনী মুনাফা, রয়েলটি ফির ওপর ১০ বছরের কর অব্যাহতির সুবিধাও।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ইকোনমিক জোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর অবকাশ সুবিধা পাবে। কিন্তু বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল এ সুবিধা পাবে না। এটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ এর পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য। কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে নতুন শিল্পায়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আর বিনিয়োগ করার পর এখন উৎপাদন শুরু করতে পারেনি ওই শিল্পগুলো হুমকির মধ্যে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ব্যাংক ঋণ নিুমানের হবে এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এ প্রেক্ষিতে কেটে নেওয়া সুবিধাগুলো পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।