রিজার্ভে অস্থিরতা, এক মাসে তিন দফা ওঠানামা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার ধার করে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার ৫১ কোটি ডলার বাড়িয়েছে।
একই সঙ্গে গ্রস রিজার্ভও বেড়ে আবার ২৫ বিলিয়ন ডলারে ওঠেছে। গত সপ্তাহে তা ২৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সোয়াপ উপকরণের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার ধার করা শুরুর পর থেকে রিজার্ভে বেশ ওঠানামা হচ্ছে।
ব্যাংক থেকে ডলার ধার করলে রিজার্ভ বাড়ছে। কোনো বড় দেনা পরিশোধ বা ব্যাংক থেকে ধার করা ডলার ফেরত দিলে রিজার্ভ আবার কমে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভে অস্থিরতা বাড়ছে।
গত ২৮ মার্চ নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫১ কোটি ডলার।
একই সময়ের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারে ওঠেছে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার। গ্রস রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বিভিন্ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।
ওইসব তহবিল থেকে বিনিয়োগ তুলে আনার কারণে গ্রস রিজার্ভ ২ কোটি ডলার কম বেড়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে যেসব তহবিল গঠন করা হয়েছে সেগুলো রিজার্ভে দেখানোর নিয়ম নেই। যে কারণে এখন নিট রিজার্ভের হিসাব করা হচ্ছে।
গত মাসের মধ্যেই দুই দফায় রিজার্ভের বড় ধরনের ওঠানামা করেছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দেনা আকুর দেনা ১২৯ কোটি ডলার শোধের পর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যায়। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ধার করে রিজার্ভ আবার বাড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারে তুলে।
গত সপ্তাহে ব্যাংক থেকে ধার করা ডলার পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এ মাসের শুরুতে রিজার্ভ আবার কিছুটা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে ঈদের আগে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যেই রিজার্ভ তিন দফা বড় ধরনের ওঠানামা করেছে।
এদিকে আইএমএফ রিজার্ভ ধারণের যে শর্ত দিয়েছিল তার মধ্যেও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। নিট রিজার্ভ মার্চের মধ্যে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ডলার রাখার শর্ত ছিল। আইএমএফের হিসাবে তা নেই। এ কারণে আগামী তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় নিট রিজার্ভ ধারণের লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানোর প্রস্তাব করা হবে।