Logo
Logo
×

অর্থনীতি

আগামী বাজেট উৎসাহব্যঞ্জক হবে: অর্থমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১১:০৯ পিএম

আগামী বাজেট উৎসাহব্যঞ্জক হবে: অর্থমন্ত্রী

আগামী  অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে বেসরকারি খাতের মতামত ও প্রত্যাশাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। আগামী বাজেট হবে বেসরকারি খাতের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব কথা বলেছেন। 

তিনি বলেন, বেসরকারি খাত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সরকার বরাবরই সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামী বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বেসরকারি খাতের মতামত ও প্রত্যাশাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা : বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকরি খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে কিছু কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আমদানির বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে এ বছর বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। আশা করি, এ পদক্ষেপগুলো বেসরকারি খাতের প্রসারসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। 

ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি ও সংসদ-সদস্য এ কে আজাদ, জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সংসদ-সদস্য ও সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতায়ন করতে হবে। এক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে ১২০০ কোটি টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেল, এটা নিয়ে অভিযোগের পরও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ব্যাংক খাতে এখন ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ দেখানো হচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, এটি প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। বিভিন্ন ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে অনেক খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর প্রবণতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে এখন ১৪ শতাংশ গুনতে হচ্ছে। বাড়তি এ সুদের কারণে অনেকে খেলাপি হয়ে পড়বে। আবার ডলারের সরকারি দর ১১০ টাকা বলা হলেও আমদানির সময় কিনতে হচ্ছে ১২৪ টাকায়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান বলেন, বহির্বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত অনেক কারণে আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে মূলস্ফীতি ও খেলাপিতে এই প্রভাব বেশি পড়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তাই উদ্যোক্তাদের বিকাশে সর্বাÍক নীতিসহায়তা অব্যাহত থাকবে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম