দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবশেষে চালু করা হয়েছে। নিজস্ব ল্যাব রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদিত ফিটকিরির পিএইচ মান ২.৮৮। আনানের বর্তমান ক্যাপাসিটিতে দৈনিক ২০ টন ফিটকিরি উৎপাদন করা সম্ভব। তবে অদূর ভবিষ্যতে এ ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি করা যাবে বলে জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষা সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার মানিকগঞ্জে আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ফিটকিরি কারখানা পুনঃচালুকরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। এ সময় আনানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হাসান মিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় হাইকোর্ট বিভাগ থেকে নিযুক্ত আনান কেমিক্যালের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. রাশেদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মেফতাউল করিম, সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, কাজী আলমগীর, এনামুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আনানের আরেকটি সম্ভাবনার দিক হলো কারখানার অভ্যন্তরে একটি সালফিউরিক এসিড প্লান্টের ফাউন্ডেশনের কাজ প্রায় সমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। ফিটকিরি উৎপাদনের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক এসিড আনান নিজে উৎপাদন করে ফিটকিরি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার সম্ভব হলে ফিটকিরির উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে। ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে ফিটকিরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ দেশে শিল্পোন্নয়নে আনান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সভায় জানানো হয়, আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের যাত্রা শুরু করেছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলেও ২০২২ সালে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালকের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। আর বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ফের ফিটকিরি উৎপাদন শুরু করেছে। ২০২২ সালে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক পুনর্গঠিত পর্ষদ আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানাটি পুনঃচালুকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও আর্থিক সংকটের কারণে কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।