বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাকশিল্প কঠিন সময় পার করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাকের চাহিদা কমেছে। রপ্তানি ও অর্ডারে যার প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে মজুরি বৃদ্ধি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা হ্রাস করেছে। এ অবস্থায় শিল্পে গ্যাস সংকট মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সৈয়দ নজরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের মতো চট্টগ্রামেও গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক কারখানা উচ্চ প্রযুক্তির মেশিনের কারণে নিজেরাই ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশন করে থাকেন। ছোট কারখানাগুলোর বয়লার গ্যাসে চলে। গ্যাস সংকটের কারণে ফিনিশিংয়ে দেরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পোশাকশিল্প প্রাইসিংয়ের চ্যালেঞ্জে আছে। কমে যাওয়া দাম কীভাবে শিল্পের উৎপাদন খরচের সঙ্গে এডজাস্ট করা যায়, সবাই সেদিকে নজর দিচ্ছেন। কিন্তু গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। শিল্পের স্বার্থেই নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে গ্যাস রেশনিং করা যেতে পারে।